জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় স্বামীকে আটক করে ঘটনার মূল হোতা মো. মামুনুর রশিদ ওরফে মামুনসহ দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে মামুন তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত এবং তার ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছে। গতকাল ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে মামুন বলেন, নিহত গৃহবধূর স্বামীকে তিনি মীর মোশাররফ হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে মুরাদের কাছে রেখে আসেন। পরে ওই নারীকে ক্যাম্পাসের বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথমে মামুন ও পরে মোস্তাফিজ ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।
এদিন আসামি মামুন ও মুরাদকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তারা ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পরিদর্শক মিজানুর রহমান তাদের জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জবিতে ধর্ষণের ঘটনায় দু’জন ‘স্বীকার’ করেছে: গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাবির মীর মোশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে বন্দী করে স্ত্রীকে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয় গণধর্ষণ। হলের দিকে এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলার পর ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাফিজুরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চারজনকে কারাগারে পাঠায় আদালত। কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন সাব্বির হাসান, সাগর সিদ্দিকী ও হাসানুজ্জামান।