জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জ্যাব) নাট্যকার সেলিম আল দীনের কবরে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গার্লফ্রেন্ডসহ এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (২8 ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে নাট্যকার সেলিম আল দীনের কবরের ওপর থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক পুলিশ কনস্টেবলের নাম ইমরুল হাসান শুভ। তিনি কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার শিমরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানায় কর্মরত আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রেমিকের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে আসেন পুলিশ কনস্টেবল ইমরুল হাসান শুভ। পরে কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে নাট্যকার সেলিম আল দীনের কবরের ওপর তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয় জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। এসময় বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে এক শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা শাখায় খবর দেয়।
ইমরুলের প্রেমিকা জানান, তার বাড়ি খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলায়। সে সাভারের ইমান্দিপুরে থাকে এবং সেখানকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত।
এই তরুণী বলেন, ‘আমরা বিয়ে করতে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি। আমাদের দীর্ঘ চার বছরের প্রেম, তাই আমরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ আমরা কাজী অফিসে যাওয়ার আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন করি। তারপর আমরা নিজের অজান্তেই সেলিম আল দীন স্যারের কবরের বেদিতে বসেছিলাম। তখন কয়েকজন শিক্ষার্থী এ অবস্থায় আমাদের কাছে এসে নানা প্রশ্ন করা শুরু করে। ইমরুলের সঙ্গে এখানকার শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, “কেন্দ্রীয় মসজিদের কাছে মারামারির খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। পরে দেখলাম ছাত্ররা ওই দুজনকে ঘিরে রেখেছে। পরে জানা গেছে, কবরের ওপর থেকে ছাত্ররা তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ধরেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরুল নিজেকে পুলিশ কনস্টেবল বলে পরিচয় দিয়েছে। আমাদের প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা তাদের প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবে। আমরা এখন মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে তাদের অভিবাবকের কাছে দিয়ে দেবো।’