সাম্প্রতিক সময়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে যাওয়া নিয়ে সারাদেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে ধারনা করছে যুক্তরাজ্যে বেড়াতে গিয়েছেন তিনি। আবার অনেকের দাবি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীর হয়তো অ/সুস্থ থাকায় ভালো চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছেন। তবে এক সূত্রে জান গেছে তিনি একা নয় সাথে রয়েছেন তার স্ত্রী ও সন্তান। ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর ( Hazrat Shahjalal Airport Dhaka ) থেকে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশ ( Bangladesh ) ছেড়ে যুক্তরাজ্যের ( United Kingdom ) উদ্দেশ্যে রওনা হন। জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের ( United Kingdom ) এক বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ছেলে বারিশ হাসান চৌধুরীর ( Barish Hasan Chowdhury ) সমাবর্তনে যোগ দিতে তিনি লন্ডনে ( London ) যান।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং দেশের মানুষকে বাঁচাতে বাম গণতান্ত্রিক জোট ২৮শে মার্চ দেশব্যাপী হরতাল ডেকেছে বলে বিদেশ সফরের কারণে জাফরুল্লাহ চৌধুরী কর্মসূচিতে নেই। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে জাফরুল্লাহর দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
তবে ধর্মঘটের সমর্থনে বৃহস্পতিবার ( Thursday ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে ২৮শে মার্চের ধর্মঘটের সমর্থনে তার নেতৃত্বে অনশন অনুষ্ঠিত হয়।
১১ মার্চ বাম গণতান্ত্রিক জোট এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের ডাক দিলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী সেদিনই হরতালকে সমর্থন জানান। পরে মাহমুদুর রহমান মান্নার ( Mahmudur Rahman Mannar ) নাগরিক ঐক্য, প্রয়াত কাজী জাফর আহমেদের ( Kazi Zafar Ahmed ) জাতীয় পার্টি, সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের ( Syed Muhammad Ibrahim ) বাংলাদেশ ( Bangladesh ) কল্যাণ পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ ( People' Rights Council ), ভাসানী ( Bhasani ) অনুসারী, রাষ্ট্রসংস্কর আন্দোলনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন হরতাল সমর্থন করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ( Democratic Alliance ) শরিক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ( Jonaid Saki ) এক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, কারণ আমরা তার সঙ্গে কথা বলিনি এবং হরতাল কর্মসূচিও দেইনি। পরে জানতে পারলাম, তিনি অনেক আগেই লন্ডনে ( London ) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
জোনায়েদ সাকি ( Jonaid Saki ) বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নন, তিনি রাজনীতি করেন না। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের প্রবীণ নাগরিক হিসেবে তিনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘটের প্রতিও সমর্থন জানান তিনি।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী পুরস্কার আনতে গিয়েছিলেন
সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম ( Jahangir Alam ) বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী এনআরবি ( NRB ) পুরস্কার নিতে লন্ডনে ( London ) গেছেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে লন্ডনভিত্তিক প্রবাসী বাংলাদেশ ( Bangladesh )ি পেশাজীবীদের সংগঠন ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশ ( Bangladesh )িস এই পুরস্কার প্রদান করছে।২৯ মার্চ দুপুরে ( March noon ) যুক্তরাজ্যের ( United Kingdom ) হাউস অব কমন্সে ( House Commons ) এই পুরস্কার প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন যুক্তরাজ্যের ( United Kingdom ) সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য স্টিফেন টিমস।
উল্লেখ্য, জানা গেছে , আগামী ১৬ এপ্রিল ডা. জাফরুল্লাহ ও তার পরিবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিবেন। তিনি যুক্তরাজ্যে থাকা কালীন সময়ে প্রবাসীদের নিয়ে বিভিন্ন সভায় ও স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারে ভাষন দেবেন। আসলে তিনি তার ছেলের জন্য লন্ডনে ( London ) যান তবে একটি কাজের উদ্দেশ্যে গেলেও ওখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে চান যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশ ( Bangladesh )ি প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে।