একজন ব্যক্তির সাথে একজন ব্যক্তির পেশাগত বা রাজনৈতিক সম্পর্ক ভিন্ন হতে পারে, তবে একজন মানুষ হিসেবে সবার সাথে সবার আন্তরীকতা থাকা উচিত। এরই প্রমাণ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দীর্ঘ অসুস্থতা থেকে সুস্থ হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে যোগ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। এ সময় সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আসন ছেড়ে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।
পরে একটি সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে সংসদীয় নেতা নিজেই তার আসনে যান। এটাই সংসদীয় গণতন্ত্রের বড় সৌন্দর্য।
আট মাস ব্যাংক চিকিৎসা শেষে সোমবার (২৬ জুন) দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ। গত বছরের ৫ নভেম্বর রওশন এরশাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। ৭০ বছর বয়সী প্রবীণ রাজনীতিবিদ রওশন এরশাদ বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রোগে ভুগছেন। তার বাম পায়ে সংক্রমণ ছিল এবং ডায়াবেটিস সহ আরও কিছু অসুস্থতার জন্য ব্যাংককে চিকিৎসা করা হয়েছিল।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য। গত দুই মেয়াদে তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করছেন।
দল বা পেশা যাই হোক, সবার আগে আমরা একজন মানুষ। তাই একজন মানুষ যখন অসুভিদায় পড়েল, তখন তার প্রতি সহানুভূতীর হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ।