পুরো বিশ্বে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির খুবই সংকট দেখা দিয়েছে এবং সেই প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে জনগনের প্রতি আহবান জানালেন বাংলাদেশ সরকার। কেননা সাশ্রয়ী না হলে ভবিষ্যতে আরো অনেক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। সম্প্রতি জানা গেল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ঘাটতির পরে রিজার্ভ শুন্য হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগে বিদ্যুৎ, তারপর জ্বালানি তেল, তারপর দেখবেন রিজার্ভ খালি হচ্ছে। এখন আর কোনো পয়েন্ট নেই, মাত্র এক পয়েন্ট। এই সরকারের পদত্যাগ।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে দলের তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মহাসমাবেশে দেশের অর্থনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “পত্রপত্রিকায় লেখা হয়েছে, দেশে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখন ৩১ বিলিয়ন ডলার। এ তথ্যও ভুল। আট থেকে নয় বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণ রয়েছে। এবং বিশেষজ্ঞরা। শুধু যে পরিমাণ ব্যবহার করা যায় তা ১৬ বিলিয়নের বেশি নয়।দল নেতাদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আর বেশি সময় নেই। এখনই ঘুম থেকে উঠতে হবে। দুর্নীতিবাজ সরকারকে দমন করতে হবে। ‘
মির্জা ফখরুল বলেন, “কয়েকদিন আগে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আমরা আইএমএফ থেকে টাকা ধার নেব না। এই সরকার মিথ্যা কথা বলে, জনগণকে প্রতারণা করে। কিন্তু ভিতরে তারা শূন্য।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কয়েকদিন আগে হাতিরঝিলে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা পটকা ফাটিয়েছেন। সেখানে বলা হয়, শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। লোডশেডিং নেই। আজ এই শহরে বিদ্যুৎ যায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা। আর গ্রামে এখন বোরো মৌসুমে যেখানে বিদ্যুতের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, সেখানে সাত থেকে আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। অথচ এই সরকার বিদ্যুতের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাঠিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বায়নে বিদ্যৎ ও জ্বালিনর ভূমিকা রয়েছে অপরিসীম। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ছাড়া বিশ্বের কথা কল্পনা করাটা অনেকটা দুষ্কর হয়ে পড়বে। বিশ্বের মানুষের আশা খুব তাড়াতাড়ি এই সংকটের সমাধান হবে। সকল সংকট কাটিয়ে বিশ্ব আবারো স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে।