গতকাল বিকাল ৩ টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জমায়েত হলে সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে গেলে সংঘ”র্ষ সৃষ্টি হয়। এই সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ হাম”লাকারীদের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল, রাবার বুলে”ট নিক্ষেপ করে। এ সময় ঘটনাস্থলে এক যুবক নিহ”ত হয়। পরিবারের দাবি তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না। জানা গেল সেই নিহ”ত যুবকের পরিচয়।
বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘ”র্ষে নিথর হওয়া যুবকের নাম মকবুল হোসেনের (৪০)। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মকবুলের স্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমএইচ) হাসপাতালে এসে দেহ শনাক্ত করেন।
মকবুল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার আব্দুস সামাদের ছেলে। তিনি পল্লবীর লালমাটি টিনশেড কলোনি এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার একটি 8 বছরের মেয়ে রয়েছে।
মকবুলের স্ত্রী হালিমা জানান, মকবুল কারচুপির কাজ করতেন। কারচুপির পুঁতি কিনতে বাড়ি থেকে ১০০০ টাকা নিয়ে বের হন। এরপর নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপি সংঘ”র্ষে প্রয়াত হন তিনি।
হালিমা দাবি করেন, তার স্বামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তবে মকবুলের ভাই নূর হোসেন জানান, তার ভাই বিএনপির কর্মী। এর আগে দুপুরে নয়াপল্টনে সংঘ”র্ষে গু’লিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কিছুক্ষণ পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ”/ত ঘোষণা করেন।
এদিকে সংঘ”র্ষের পর দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শতাধিক নেতা অভিযোগ করেছে। নয়াপল্টন থেকে জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে আটক করা হয়েছে। .
এদিকে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের অনেককে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এক সময় সেখানে বেশ কয়েকটি প্রিজন ভ্যান আসে এবং নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যায়। এদিকে এ ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির প্রতিবাদ মিছিল করে। এদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।