বর্তমান সময়ে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে আকাশ উচ্চতায়। যার ফলে নিম্ন আয়ের ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য তাদের চাহিদা মোতাবেক দ্রব্য ক্রয় করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। এসব পরিবারের উদ্দ্যেশ্যে টিসিবি শুরু করেছে ‘ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়। যেটি দ্বারা উপকৃত হবে এক কোটিরও বেশি পরিবার।
স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণের জন্য রোববার ( Sunday ) থেকে শুরু হচ্ছে টিসিবির ( TCB ) ‘ফ্যামিলি কার্ড’ কার্যক্রম। এই কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি পরিবার ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাবে।
প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে সয়াবিন তেল, চিনি ও মসুর ডাল দেওয়া হবে। রোজায় দেওয়া হবে ছোলা। কর্মসূচির আওতায় আজ থেকে প্রথম এবং রমজানের শুরুতে দ্বিতীয় পর্যায়ের পণ্য দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীরা তার ইউনিয়ন বা উপজেলার টিসিবির ( TCB ) ডিলারের কাছ থেকে কার্ড দেখিয়ে পণ্য গ্রহণ করতে পারবেন। ডিলাররা বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পণ্য নিয়ে আসবেন। টিসিবির ( TCB ) সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
জানা গেছে, আজ থেকে ৩১ মার্চ ( March ) পর্যন্ত প্রথমপর্বে একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী পাবেন ২ লিটার সয়াবিন তেল, দাম হবে প্রতি লিটার ১১০ টাকা। এছাড়া ২ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডালও দেওয়া হবে। চিনির দাম কেজি প্রতি ৫৫ টাকা এবং মসুর ডাল ৬৫ টাকা।
এ ছাড়া ৩ এপ্রিল ( April ) থেকে অর্থাৎ পহেলা রমজানের থেকে দ্বিতীয় দফায় সাশ্রয়ী মূল্যে উল্লেখিত তিনটি পণ্যের সঙ্গে আরও দুই কেজি ছোলা যোগ করা হবে। এক্ষেত্রে ছোলার দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, যারা সরকারের ( government ) ২৩ ধরনের ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন না তাদেরই টিসিবির ( TCB ) ফ্যামিলি কার্ডধারী করা হয়েছে। সুবিধাভোগী নির্ধারণে স্থানীয় জনসংখ্যা, দারিদ্রের সূচক বিবেচনা করা হয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসন জড়িত।
টিসিবির ( TCB ) কর্মসূচি বাজারে কতটা প্রভাব ফেলবে জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ( Consumers Association Bangladesh ) (ক্যাব ) সভাপতি গোলাম হোসেন ( Golam Hossain ) দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, টিসিবি এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য সরবরাহ করবে। এতে ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবে। অর্থাৎ যদি প্রতি পরিবারে ৫ জন থাকে। এখন প্রশ্ন হলো- স্থানীয় বাজার থেকে এই পণ্য কিনে বিতরণ করলে সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি হবে না। দেশের বাইরে থেকে পণ্য আমদানি করা হলে সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। বাজারদর প্রভাবিত হবে। তবে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এসব কার্যক্রম আরও জোরদার করা গেলে ভালো হয়।
উল্লেখ্য, টিসিবি’র এই উদ্যোগের উদ্দ্যেশ্য হলো যথাসম্ভব ন্যায্যমূল্যে দেশের নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী বিক্রয় করা। যেটি কিনা দুইটি দফায় বিতরণ করা হবে অর্থাৎ রমজান মাস এবং তার পূর্ববর্তি মাসে। কিন্তু এই উদ্যোগের ফলে সাধারন বাজারে পন্য সামগ্রীর মূল্যের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা সেটা এখন দেখার বিষয়।