পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ঘন কুয়াশার কারণে আটকে পড়া রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি বাল্কহেডের ধাক্কায় নয়, ফেরি কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে ডুবে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ‘রজনীগন্ধা’ ফেরি দুর্ঘটনার পর ফেরিতে থাকা এক ট্রাক চালক অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার সময় ফেরিতে ছিল শুধু ট্রাক। আমরা পাঁচজন একটি ট্রাকে ছিলাম। কোনো বাল্কহেডের ধাক্কার ঘটনা ঘটেনি; এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা কথা। এখানে কেউ কাউকে ধাক্কা দেয়নি। আমরা রাতে নদীর ওই জায়গায় নোঙর করে ছিলাম।’
কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাল্কহেডের ধাক্কায় নয়, ফেরি কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ফেরিতে কোনো পানিও ওঠেনি।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ৯টি গাড়ি নিয়ে রজনীগন্ধা নামে একটি ফেরি ডুবে যায়। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কাজ চলছে। বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত ১০ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় রজনীগন্ধা ফেরিটি ধীরে ধীরে পদ্মা নদীতে ডুবে যায়। ফেরি ডুবে গেলে ফেরি থেকে যাত্রীদের আহাজারি ও যাত্রীদের চিৎকার শোনা যায়। এ সময় সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী দলকে জানানো হয়। পরে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করে।