গত শনিবার ১৬ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি নগরীর চরপাড়ার লাবিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শি/ শুটিকে দেখতে যান এবং শি/ শুটির চিকিৎসা ও পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) এনামুল হক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শি/ শুটিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আমি সেখানে গিয়ে বলেছিলাম, শি/ শুটির চিকিৎসার খরচসহ ভবিষ্যতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য শি/ শুর নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলব।
শনিবার বিকেলে উপজেলার রাইমনী গ্রামের ফকির গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০) তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগম (৩০) ও মেয়ে সানজিদাকে (৬) নিয়ে ত্রিশালে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে আসেন। পুর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম ও রত্না বেগমের প্রয়াত হয় এবং রত্না বেগম ঘটনাস্থলেই সন্তান প্রসব করেন।
পরে আহত শি/ শু সানজিদা ও নবজাতককে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সানজিদাকে প্রয়াত ঘোষণা করেন এবং তার গর্ভে জন্ম নেয়া ওই সন্তানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তবে সেখানে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ওই সন্তানকে চুরখাই কমিউনিটি ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চরপাড়া এলাকার লাবিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এঘটনায় ট্রাকটিকে জদ্ব করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তবে আসামি অর্থাৎ ড্রাইভারে এখনো আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা।