জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হলেন মরহুম রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনি পর পর দুইবার এদেশের ক্ষমতায় এসেছিলেন। ক্ষমতায় থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে গেছেন। সম্প্রতি জানা গেল জাতীয় পার্টির আয় সম্পর্কে। বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির থেকেও জাতীয় পার্টির আয় আড়াই গুণ বেশী।
গত বছর জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) সাবেক ক্ষমতাসীন দল বিএনপির চেয়ে প্রায় আড়াই গুণ বেশি আয় করেছে।
এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ২০১৪ সালে জাপার চেয়েও বেশি খরচ করে।
গত ২৮ জুলাই নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় বিএনপি।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে সংলাপে আয়-ব্যয়ের হিসাব সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় জাপা। দলটির অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল করিম ভূঁইয়া ইসি সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকারের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন।
ইসিতে জমা দেওয়া আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিএনপি আয় করেছে ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা। বিপরীতে দলটির ব্যয় ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৭১ টাকা।
২০২১ সালে জাপা আয় করেছে ২ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ১৫৪ টাকা। একই সময়ে দলটির খরচ হয়েছে ৮৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৪ টাকা। বছর শেষে দলটির জামানত রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ২০ টাকা।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সাল থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করে ইসি। নিবন্ধিত দলগুলির জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতি বছর 31 জুলাইয়ের মধ্যে পূর্ববর্তী ক্যালেন্ডার বছরের জন্য একটি ‘অডিট রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
মূলত, রাজনৈতিক দলগুলো কোন খাত থেকে কত টাকা আয় করে, কত খরচ করে, বিল ও ভাউচারের পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনের নির্ধারিত ছকে জমা দিতে হয়। নিবন্ধিত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে এই অ্যাকাউন্টগুলি অডিট করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নিবন্ধিত দল টানা তিন বছর আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করার ক্ষমতা ইসির রয়েছে।
আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয়
রোববার সকালে ইসিতে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটি ২০২১ সালে আয় করেছে ২১ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ১০৬ টাকা। ওই বছর তাদের ব্যয় ছিল ৬ কোটি ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ টাকা।
আয়-ব্যয় প্রতিবেদনে, ক্ষমতাসীন দল বলেছে যে তাদের আয়ের প্রধান উত্স মনোনয়নপত্র এবং প্রাথমিক সদস্যপদ ফরম বিক্রি।
প্রসঙ্গত, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এরশাদের প্রয়ানের পরে দলটির দায়িত্ব নেন তারই সহধর্মীণি রওশণ এরশাদ। আজানা গেছে তিনিও নাকি খুব অসুস্থ্য আর তাই জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন জি এম কাদের। তিনিই দক্ষভাবে পরিচালনা করছেন দলটিকে।