ফেসবুকে পরিচয় থেকে দীর্ঘ ৬ মাস প্রেমের পর গত জুলাই মাসের শেষের দিকে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন গুরুদাসপুরের খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার (৪০) ও কলেজছাত্র মামুন (২২)। দাম্পত্য কলহের জের ধরে প্রথম সংসার ভাঙার পর মামুনকে পেয়ে বেশ সুখেই ছিলেন তিনি। তবে বিয়ের মাত্র কয়েক মাসের মাথা নাটোরের বলারিপাড়া এলাকায় একটি বাসা থেকে ঐ শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার ভোরে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তার স্বামী মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এলাকাবাসী জানান, রাত ৩টার দিকে স্বামী মামুন এলাকাবাসীকে ডেকে বলেন, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে আ/ত্ম/হ/ন/ন করেছেন। এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে তার ঘরে দে/হ মেঝে/তে সো/য়ানো অ/বস্থায় দেখতে পান। কিন্তু সন্দেহ হলে এলাকাবাসী মামুনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।
এর আগে, গত ৩১ জুলাই কলেজছাত্র ও ওই শিক্ষিকার বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে কলেজছাত্রকে বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এক সংবাদ মাধ্যমকে ঐ শিক্ষিকা বলেছিলেন, প্রথম সংসার ভাঙার পর মানুসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু মামুন এসে তাকে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছে। তার খারাপ সময়ে মামুন তার পাশে দাড়িয়েছে।