অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে দক্ষিণ বাংলার ( South Bengal ) মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শে ( )খ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে নির্মান হলো পদ্মা সেতু। মাত্র কয়েকদিন পর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতু। এই সেতু বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলো। এই সেতু উদ্বোধনের জন্য ব্যাপক পরিসরে বিশে ( )ষ আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ২৫ শে ( ) জুন হবে এই বিশালাকার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন।
মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ ১০ লাখের বেশি লোকের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এলাকা কড়া নিরাপত্তার পাশাপাশি সিসিটিভির আওতায় থাকবে। বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সমাবেশস্থলে পৌঁছায়। সমাবেশস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নাছিম।
নাসিম বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
এই স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায় লাখ লাখ মানুষ। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটবে। উদ্বোধনের দিন সারাদেশের মানুষ উৎসবে অংশ নেবেন- কেউ সমাবেশে আসবেন, আবার কেউ টেলিভিশনের মাধ্যমে। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উৎসবে যোগ দেবেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন মন্তব্যের সমালোচনা করে নাসিম বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে কোনো স’ন্ত্রা’/সী কর্মকাণ্ড চালালে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবেলা করবে। জীবনমান নিয়ে সন্ত্রাস করলে, ’৭৫-এর ঘা’/তকের মতো কথা বললে, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার হুম’কি দিলে, আওয়ামী লীগ সাংবিধানিক আন্দোলনের মাধ্যমে এসব অপকর্মের জবাব দেবে।
এ সময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার এর অর্থ বিভাগ সম্পুর্ন অর্থের যোগান দেয়। এই সেতু নির্মাণের জন্য বিশ্বব্যাংকের নিকট অর্থ চাইলে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ডের সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রতিজ্ঞার মাধ্যম পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলো।