নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সহ বেশ কয়েকটি দল পাকিস্তানে একটি জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ছোট ভাই শাহবাজকে মনোনয়নের ঘোষণা দেন নওয়াজ শরিফ। জিও টিভির খবর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পিএমএল-এন প্রার্থী হিসেবে নওয়াজ শরিফের নাম দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকলেও তিনি সবাইকে অবাক করে শাহবাজকে মনোনয়ন দেন। একই সময় পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে দলগুলো। এদিন পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি ও শাহবাজ শরীফ নতুন জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। এই দলগুলোর জোটই ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করেছিল।
নির্বাচনের পরে কোনো একক দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায়, ১১ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভির বাড়িতে পিএমএল-এন সভাপতি শেহবাজ শরিফ এবং পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোর মধ্যে বৈঠকের পর, কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে জোট সরকার গড়তে সম্মত হন তারা। তবে বিলাওয়াল ভুট্টোকে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার শর্ত দেওয়া হয়েছিল।
এরপর সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ও মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিলাওয়াল বলেন যে, বিলওয়াল ভুট্টো এদিন জানান, কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের ক্ষেত্রে পিপিপির যেহেতু ম্যানডেট নেই তাই তিনি প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হচ্ছেন না। তবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে পিএমএল-এনকে সাহায্য করবেন জানিয়ে পিপিপি প্রধান বলেন, পিপিপি তার ইশতেহার অনুযায়ী চলবে। আমরা সরকারের অংশ হবো না। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারে কোনো মন্ত্রীও আমাদের দল থেকে থাকবে না।
তিনি বলেন, দেশকে সংকট থেকে বের করে আনতেই আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমাদের পাকিস্তানকে সমর্থন ও শক্তিশালী করতে হবে।
তার ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পরে, পিএমএল-এন, পিপিপি, এমকিউএম-পি এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদের (পিএমএল-কিউ) নেতারা রাতে একটি বৈঠক করেন। ওই বৈঠক শেষে জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে, ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ জানিয়েছে যে তারা পিএমডব্লিউএম-এর সঙ্গে জোট করে কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে সরকার গঠন করবে।