রাজধানীর পল্টনে বিএনপি’র প্রধান কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘ”/র্ষের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের অপর এক শীর্ষ নেতা মির্জা আব্বাস। তারা গ্রেপ্তারের পর জামিন আবেদন করা হলেও এখনো জামিন পাননি। কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কা”রাগারে তাদের রাখা হয়েছে। সেখানে তারা বই পড়েই তাদের সময় কাটাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কারাগারে বিএনপির দুই নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তাদের স্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, তিনি একজন শিক্ষক। বই পড়া তার নিত্যদিনের অভ্যাস। ইতিমধ্যে কিছু বই পাঠিয়েছি। সেই বইই এখন কারাগারে তার নিত্যদিনের সঙ্গী।
তিনি বলেন, এমনিতে তার অসুস্থতা আছেই, কিছু ওষুধও দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা মোটামুটি, তবে তার মনবল দৃঢ় রয়েছে। গত কয়েকদিন তাকে কারাগারে কষ্ট করতে হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ডিভিশন পেয়েছেন।
মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস জানান, তার শারীরিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়। গত কয়েকদিন তাকে কষ্টের মাঝে কাটাতে হয়েছে। তিন দিন ধরে তাকে সাধারণ ব”ন্দীদের সঙ্গে মেঝেতে কম্বল বিছিয়ে ঘুমাতে হয়েছে। মঙ্গলবার রিট দায়েরের পর তাদের ডিভিশন দেওয়া হয়। আজ আমি তাকে রাষ্ট্র ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের কিছু বই এবং কোরআন শরীফ দিয়েছি, ওষুধও দিয়েছি।
গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘ”/র্ষ হয়। এতে একজন প্রয়াত ও বেশ কয়েকজন আহ”ত হয়েছেন। সংঘ”/র্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা দেড়শ থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
এরপর গত ৮ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতের দিকে মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাসের বাসায় গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের দু’জনকে গ্রেফ”তার করে। পরের দিন অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয় এবং সেই সাথে তাদের দুজনকে কা”রাগারে আটক করে রাখার জন্য আবেদন করা হলে মাননীয় আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। এদিকে একাধিকবার মির্জা ফখরুল এবং আব্বাসের জামিনের জন্য আবেদন করা হলেও নামঞ্জুর করে দেন আদালত।