পদ্মা সেতুতে বিশেষ কারণে বাইক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হতে না হতেই বাইকাররা বিভিন্ন ধরণেরে সমস্যার সৃষ্টি করছে বলে জানা গেছে। বাইকের উপর নিষেধাজ্ঞা না দেওয়া হলে পদ্মা সেতুতে আরো অনেক দুর্ঘটনার পরিমাণ বেড়ে যেত। সম্প্রতি জানা গেছে কিভাবে বাইকাররা মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করতে পারবেন।
ঈদের আগে ও পরে সাত দিন এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বাইকাররা মুভমেন্ট পাস নিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন।
এ জন্য একজন বাইকার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের আটটি বিভাগীয় কার্যালয় থেকে মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করতে পারবেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যুক্তির কারণ দেখিয়ে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমের সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে যুক্তিসঙ্গত মনে হলে পুলিশ অনুমতি দেবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলন পাসের বিষয়টি সরকারিভাবে বলা হচ্ছে না।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কেউ ঢাকা ছাড়তে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬ ডিভিশনের ট্রাফিক ডিসি কার্যালয় থেকে মুভমেন্ট পাস সংগ্রহ করতে হবে। এই মুভমেন্ট পাস কোন সাব অফিস থেকে ইস্যু করা হবে না।
আপনি যদি আন্দোলনের পাস পেতে চান তবে আপনাকে যা করতে হবে তা হল একটি ফর্ম পূরণ করা। সেই ফর্মে উল্লেখ করা উচিত যে কেন তিনি ঢাকা ছেড়ে যেতে চান বা কেন তিনি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে চান।
ফর্মের তথ্য যাচাই করার পর, পুলিশ যদি মনে করে যে ওই ব্যক্তিকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে, তাহলে ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে যেতে পারবে।
আরও জানা গেছে, তিনি যদি আন্দোলনের পাস গ্রহণ করেন তবে তিনি যে কারণে আন্দোলন করতে চান তা ফর্মে উল্লেখ করতে হবে। কোনো বাইকার মুভমেন্ট পাস নিয়ে রাইড শেয়ারিং করতে পারবে না। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, মোটরসাইকেলে স্ত্রী-সন্তানকে বহন করা যাবে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিবেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা আন্দোলন পাসের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রসঙ্গত, বাইকাররা অতি বেপরোয়া গতিতে বাইক রাইড করে থাকে যার ফলে যেকোনো সময় তাদের পরতে হয় দুর্ঘটনার কবলে। পরিবারের কথা ভাবে না তারা। সন্তানকে হারিয়ে বাবা-মায়ের অবস্থা কতটা যে দুঃখের হয়ে থাকে সেটা সন্তান হারা বাবা-মাই ভালো জানেন।