প্রধানমন্ত্রী আম বাগানে আমের ব্যাপক ফলন হয়েছে। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর আম বাগান পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, প্রধানমন্ত্রীর আম বাগানের জন্য কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিয়ে আসছে। কৃষি বিভাগের লোকজন সব সময় বাগানের পরিচর্যায় সহযোগীতা করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে উপজেলার সব বাগানে আমের ভালো ফলন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাগানের অর্ধেক আম বিক্রি হয়েছে প্রায় সোয়া লাখ টাকায়। সদর উপজেলার সরদারপাড়ার (শাপলাপাড়া) মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী মিশু মিয়া আমটি কিনেছেন। ফলের যত্ন নিচ্ছেন ওই ক্রেতা। আমের বাগানটি রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক সংলগ্ন পীরগঞ্জ পৌরসভার উজিরপুরে অবস্থিত। রংপুরের আলমনগরে বাগানের পরিচর্যা করছেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষ। ১ একর ৫৬% জমিতে ৫৫টি হাঁড়িভাঙ্গা এবং ৫৫টি বারি-৪ জাতের আম গাছ রয়েছে। এবার বাগানে বারি-৪ জাতের আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। বারি-৪ জাতের সব আম বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম পিন্টু বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাত্র ৫০ শতাংশ জমির মালিক। ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে পুতুলের নামে আরও জমি রয়েছে তার। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর তিনগুণ বেশি আম ফলন হয়েছে। বাগানের আম ক্রেতা মিশু মিয়া জানান, বারি-৪ জাতের আম পাকতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। তিনি আরও বলেন, এ আম কাঁচা থেকেও মিষ্টি। আর আম পরিপক্ক হওয়ার জন্য কৃষি বিভাগের পরামর্শে গাছের গোড়ায় সার প্রয়োগ করেছি।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার শ্বশুর বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামে। কয়েক বছর আগে পীরগঞ্জ পৌরসভার উজিরপুর গ্রামে মহাসড়কের পাশে ১ একর ৫৬ শতাংশ জমি প্রধানমন্ত্রী ও ছেলে ও মেয়ে নামে কেনা হয়। ওই জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের আবাদ করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে বাগানে হাড়িভাঙ্গা, বারি-৪ জাতের ১২০টি আমের চারা রোপণ করা হয়। এবার প্রতিটি গাছে আমের ফলন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।