ক্যাসিনো কাণ্ডে আলোচিত একটি নাম ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। তিনি শুধু ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত নন, তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি হিসেবেও আলোচিত ব্যাক্তি ছিলেন। ক্যাসিনোকান্ডের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তার পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ক্যাসিনো কাণ্ডে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শেষ পর্য্ন্ত আদালত তার জামিন মন্জুর করলেন, যাতে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকলো না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিনের নথি আদালত থেকে কারাগার হয়ে শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএসএমইউ) হাসপাতালে পৌঁছালে রাতের মধ্যে মুক্তি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মুহাম্মদ আব্দুস সেলিম।
সোমবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
আবদুস সেলিম বলেন, সম্রাট হাসপাতালে আছেন। তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে হাসপাতালে পাঠানো হবে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া যাবে।
এর আগে জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন আদালত।
অসুস্থতার কারণে আদালত তাকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন দেন। চারটি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় তিনি ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছেন এবং এখন তার মুক্তিতে কোনো বাধা নেই।
সোমবার (২২ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত দুই শর্তে সম্রাটের জামিনের আদেশ দেন।
শর্ত দুটি হলো- সম্রাটকে তার সম্রাটকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
এর আগে গত ১১ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ মামলায় সম্রাটকে জামিন দেন। এদিন সব মামলায় জামিন পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান সম্রাট।
এদিকে সম্রাটের মুক্তির জন্য তার সমর্থক নেতাকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেন এবং তার মুক্তির জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে তার মুক্তির জন্য এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তার নেতাকর্মীরা মনে করেন, তিনি মুক্তি পেলে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে দলের সমর্থকেরা, পাবে নতুন শক্তি।