কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ দেশের একটি ব্যতিক্রমী মসজিদ। এই মসজিদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মসজিদের দান বাক্সে দান করে থাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ। প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকা অর্থ দান বক্স খোলার পর পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও ৩ মাস ২০ দিন পর দান বাক্স খোলা হলে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া গিয়েছে।
এবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গেছে। আজ শনিবার দিনভর গণনা শেষে রাতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নগদ টাকার পাশাপাশি স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা পাওয়া গেছে।
এবার তিন মাস ২০ দিন পর ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হলো। শনিবার সকাল ৯টা থেকে গণনা শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত।
গণনায় অংশ নেন ১৯৬ জন শ্রমিক। এদের মধ্যে পাগলা মসজিদ পরিচালিত নুরুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, পাগলা মসজিদ ও মাদ্রাসার ৩৪ জন এবং রূপালী ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
প্রথমে ৮টি সিন্দুকের টাকা ১৬টি বড় বস্তায় ভরা হয়। পরে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে রেখে গণনার কাজ শুরু হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে দান বাক্সগুলো খোলা হয়। পাগলা মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা গণনা তদারকি করেন।
এর আগে ১২ মার্চ দানবাক্স খোলা হয়। এসময় ৩ কোটি ৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। গতবারের তুলনায় এবার ১৮ লক্ষ ২২ হাজার ৮৮০ টাকা কম পাওয়া গেছে।
পাগলা মসজিদে দান করা সকল অর্থ মসজিদ মাদ্রাসাসহ সকল জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকা পাওয়া যায় এই দান বাক্স খোলার পর, তাছাড়া বৈদেশিক মুদ্রাসহ স্বর্ণালংকার ও অনেকে তাদের মনবাসনা পূরণের জন্য দানবাক্সে দান করে থাকে। কথিত আছে এই মসজিদে দান করার মাধ্যমে অনেকের তাদের মনের আশা পূরণ হয়েছে।