বিএনপি সভানেত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাদ”ন্ডাদেশের বেশ দুঃসময় পার করছেন। এরপর গত এক বছর ধরে তিনি কখনো হাসপাতলে শয্যায় ছিলেন আবার কখনো বা বাসায় অনেকটা একাকী অবস্থান করেন। তবে তিনি হাসপাতাল থেকে কিছুদিন আগে বাসায় ফিরলেও তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। তবে তার মানসিকতা অধিক শক্তিসম্পন্ন এবং দৃঢ়।
গত কয়েক বছরে ঈদের আনন্দ তার ভাগ্যে জুটেনি। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের প্রাদূর্ভাবের সময়, জেলজীবন সবই কিছু মিলিয়েই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
এবার তিনি মানসিকভাবে বেশ প্রফুল্ল। কারণ, বহু বছর পর কনিষ্ঠ পুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কন্যাদের নিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী। নাতনি জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান এখন তার সঙ্গে রয়েছেন।
কোরবানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। কোরবানির জন্য একটি গরু ও দুটি খাসি কেনা হয়েছে। ঈদের দিন প”শু কোরবানি করার পর ঢাকার কয়েকটি এতিমখানায় মাংস পাঠানো হবে। বিএনপি কার্যালয়ের কর্মচারীরা একটি অংশ নেবেন।
ফিরোজায় খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় কিছু মাংস রান্না করবেন বাবুর্চিরা। সেই খাবারের একটি অংশ খালেদা জিয়া খেতে পারেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডাম এবার একটি গরু ও দুটি খাসি কোরবানি দিচ্ছেন। প”শু কোরবানি করার পর কিছু মাংস তার বাসভবনের কর্মীদের জন্য রেখে দেওয়া হবে এবং বাকিটা কয়েকটি এতিমখানা ও গরীবদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে ম্যাডাম মাংস খেতে পারেন না। তিনি খুব সাধারণ খাবার খান। এবার তিনি তো এমনিতেই অসুস্থ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার খাবার রান্না করা হয়।
এদিকে সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির পর প্রতি ঈদের সন্ধ্যায় তার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। দলের নেতারাও এই ঈদে দেখা করতে যাবেন।
উল্লেখ্য, গত দুইবারের ঈদ খালেদা জিয়ার জন্য আনন্দজনক না থাকলেও এবার তিনি কিছুটা হলেও নাতনীদের সাথে আনন্দঘন সময় কাটাতে পারবেন। এদিকে তার ছেলে এবং পুত্রবধূরা তাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাবেন এবং দিনের বেশিরভাগ সময় তার সাথে ভিডিও কলে সময় পার করতে পারেন বলে জানা গেছে।