বাংলা চলচ্চিত্রের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেতা মিশা সওদাগর। ক্যারিয়ারে অধিকাংশ সিনেমায় ‘খল’ চরিত্রে অভিনয় করে কোটি ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। তবে খল চরিত্রে অভিনয় করায় অনেকেই গুণী এই অভিনেতার সম্পর্কে নানা খারাপ ধারনা পোষণ করে থাকেন। কিন্ত বাস্তব জীবনে তার মতো একজন বন্ধু প্রিয় ও হৃদয়বান মানুষ পাওয়া খুবই কঠিন।
এদিকে সম্প্রতি একটি বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মিশা সওদাগর বলেন, ‘খুবই দুঃখিত, নতুন কিছু বলতে চাই, নতুন কিছু দেখতে চাই। কিন্তু সবাই চামচামি পছন্দ করে।’
তিনি বলেন, ‘চামচামি আমার রক্তে নেই। চামচামি ঘৃণা করি। আমাকে যদি একদিনের ক্ষমতা দেওয়া হয়, আমি বলতাম- সব চামচাদের মেরে ফেলো।’
আজ (৩০ নভেম্বর) এফডিসিতে চলচ্চিত্র প্রযোজক সেলিম খানকে সংবর্ধনা দেয় চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। এ সময় মিশা সওদার এসব কথা বলেন।
এই খল অভিনেতা আরো বলেন, ‘আমি দুঃখিত এ কারণে যে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি প্রযোজক সেলিম খানকে সম্মাননা দিচ্ছে। কিন্তু এ অনুষ্ঠানে যে পরিমাণে শিল্পী থাকার কথা ছিল তা নেই। মেইন কাস্টিংয়ের শিল্পীদের এখানে থাকা উচিত ছিল। তা হলে উনি (সেলিম খান) প্রেরণা পাবেন কোথা থেকে? উনাকে মালা দিয়ে প্রেরণা দেওয়ার দরকার নেই, তথাকথিত উপসংহার দিয়ে, প্রেরণা দেওয়ারও দরকার নেই।’
এ সময় সেলিম খানের প্রশংসা করে মিশা বলেন, ‘এশিয়া উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ সিনেমা ‘মুঘল-ই-আজম’, ‘শোলে’। ‘মুঘল-ই-আজম’ সিনেমার নায়ক দীলিপ কুমার যিনি শাহজাদা সেলিমের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। আমি দীলিপ কুমারকে দেখিনি, আমি বাংলা চলচ্চিত্রের সেলিম খানকে দেখেছি।’
প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালে পুরান ঢাকার সাতরোজায় আবুল হাসান রোডে একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন মিশা সওদাগর। তিনি ১৯৯০ সালে ‘চেতনা’ ও ‘অমরসঙ্গী’তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু ব্যবসায়ের দিক দিয়ে সিনেমা দুইটি ব্যর্থ হয়। তবে পরবর্তীতে ‘আশা ভালবাসা’ ও ‘যাচ্ছে ভালবাসা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে সবার নজরে আসেন মিশা সওদাগর।