Wednesday , November 13 2024
Breaking News
Home / National / জানা গেলো কি কারণে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নবনির্বাচিত সিইসির নিয়োগ অবৈধ ঘোষিত হয়েছিলো

জানা গেলো কি কারণে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নবনির্বাচিত সিইসির নিয়োগ অবৈধ ঘোষিত হয়েছিলো

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ১২তম নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে গত মাসের ২৭ তারিখ জাতীয় সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে এই মাসের ৫ তারিখ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গঠিত হয় অনুসন্ধান কমিটি। অবশেষে অনুসন্ধান কমিটি কর্তৃক প্রস্তাবিত দশজনের নাম থেকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নাম প্রকাশ করেছেন।

দেশের ১৩তম প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। হাবিবুল আউয়াল (৬৬) পাঁচ বছর আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের অধ্যাপনা করছিলেন।

২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তার অবসর নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকার পিআরএল বাতিল করে তাকে এক বছরের চুক্তিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়। ২০১৬ সালে চুক্তিটি আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল। তিনি সিনিয়র সচিব হিসাবে ২০১৭ সালে মন্ত্রণালয় থেকে অবসর নেন। ১৯৯৭ সালে জেলা ও দায়রা জজ পদে উন্নীত হন।

২০০০ সালের ডিসেম্বরে, হাবিবুল আউয়াল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হন। ২০০৪ সালে তিনি অতিরিক্ত সচিব হন। ২০০৭ সালে তিনি একই মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে পদোন্নতি পান। সচিব হওয়ার পর হাবিবুল আউয়াল ২০০৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ে ছিলেন। আদালত ২০১০ সালে রায় দেন যে আইন সচিব হিসেবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নিয়োগ অবৈধ। নিয়োগের সময় নীতিমালা অনুসরণ না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে হাবিবুল আউয়ালের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত।

তিন কন্যার জনক হাবিবুল আউয়ালের সাহানা আক্তার খানম নামে স্ত্রী রয়েছে। তিনি বেশ কিছু আত্মজীবনীমূলক বইও প্রকাশ করেছেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৯৫৬ সালের ২১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে এলএলবি ডিগ্রি এবং ১৯৭৮ সালে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৮০ সালে বার কাউন্সিলের সার্টিফিকেট পান। একই বছর তিনি ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। ১৯৮১ সালে বিসিএস পাস করে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সুপারিশে জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে জেলা জজ পদে উন্নীত হন।

কর্মজীবনে কাজী হাবিবুল আউয়াল বাংলাদেশ আইন কমিশনের সচিব এবং শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সহকারী সচিব এবং পরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ডেপুটেশনে উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, পাকিস্তান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড, নেপাল, কানাডা, জাপান, ফ্রান্স, নরওয়ে, সুইডেন, ঘানা, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন এবং হংকং ভ্রমণ করেছেন। ব্যক্তি হিসেবে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, পুলিশ স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টার, ফরেন সার্ভিস একাডেমি, জুডিশিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটেও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, সিইসি হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আরও আছেন সাবেক জ্যেষ্ঠ্য সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান৷

About Ibrahim Hassan

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *