কয়েক সপ্তাহ আগে নানা্ আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা বাধাকে অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রীর সাহসি উদ্যোগে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবে রুপ নিয়েছে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশে নতুন এক দিগন্তের উন্মোচন হল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। সেতুর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন নতুন খাত সৃষ্টি হবে। উদ্বোধনের পর থেকে সেতু রেকর্ড পরিমান টোল আদায় সম্পর্কে যা জানাগেল।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে ২০ দিনে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে পাড়ি দিয়েছে চার লাখ ৫০ হাজার ৩১২ যানবাহন। এতে আদায় হয়েছে ৫২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬৫০ টাকা। অর্থাৎ ২০ দিনেই সেতুতে টোল আদায় অর্ধশত কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, প্রথম ২০ দিনে মাওয়া হয়ে সেতু দিয়ে ২ লাখ ৩০ হাজার ৪১৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২৬ কোটি ৮১ লাখ ৫৯ হাজার ২৫০ টাকা।
অন্যদিকে জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাড়ি দিয়েছে দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৯৬ যানবাহন। এতে আদায় হয়েছে ২৫ কোটি ৭৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা।
পদ্মা সেতু সাইট অফিসের মাওয়া টোল প্লাজার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ঈদে চাপ ছিল, কিন্তু আমরা সেই চাপ সফলভাবে সামলাতে পেরেছি। এখন যথারীতি যানবাহন পারাপারের সময়। কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন ডিসেম্বরের মধ্যে আরও আধুনিক টোল সংগ্রহ ব্যবস্থা স্থাপন করবে। তাহলে সক্ষমতা বাড়বে এবং দ্রুত টোল আদায় করা হবে। খন ঘণ্টায় এক হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ গাড়ির টোল আদায় করা যাচ্ছে, তখন আরও বেশি হবে।।
তিনি আরও বলেন, এখন মাওয়া প্রান্তে ক্যাশ ট্রানজেকশনে টোল আদায় হচ্ছে, পাশাপাশি একটি হাইব্রিড লেনে ক্যাশ ও ইলেকট্রনিক ট্রানজেকশনের লেন রয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে টোল প্লাজায় একটি ইটিসি লেনও থাকবে। এছাড়া ইমারজেন্সি লেন থাকবে।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতুতে রেকর্ড পরিমান টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়ে কতৃপক্ষ। ঈদের কারনে ব্যাপক চাপের সৃষ্টি হলেও সেটিকে সফলভাবে মোকাবেলা করেছে কর্তব্যরত কর্মীরা।