বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও স্বার্বভৌম রাষ্ট্র এবং গণতান্ত্রিক একটি দেশ। প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ড়াজনৈতিক দল রয়েছে, যার মধ্যে আওয়ামনী লীগ হলো বর্তমান ক্ষমতাসীন দল। জাতীয় নির্বাচনগুলো পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ মোট ৫ জন নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন। সম্প্রতি জানা গিয়েছে আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় নির্বাচনের পরিকল্পনা জানালেন ইসি আলমগীর।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনও এক বছরেরও বেশি সময় বাকি। তবে নির্বাচনের ডামাডোল বাজতে শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশন বসে নেই এবং ইতোমধ্যে পর্যায়ক্রমে সংলাপ হয়েছে, সর্বোচ্চ দেড়শটি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তাদের কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে কমিশন। তদনুসারে, পরের বছর তফসিল নভেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষ হবে এবং ভোট হবে বছরের শেষ বা ২০২৪ সালের শুরুতে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর।
তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিকল্পনায় সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হবে।
মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে হলে স্বাভাবিকভাবেই নভেম্বরের মধ্যে তফসিল দিতে হবে। ১৫ তারিখের মধ্যে সিডিউল দিতে হবে। আর যদি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হয় তাহলে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ঘোষণা হবে।
নির্বাচনের মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার। তারা গুরুত্বের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে কোথায় হবে।
কমিশন চায় নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তবে আসা বা না আসা প্রতিটি দলের গণতান্ত্রিক অধিকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা সভা ও সমাবেশ করে নিজেদের মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করছেন।