নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনা-সামলোচনা ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছেএ। তবে বর্তমান সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নতুন আইনের খসড়া অনুমদোন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। আজ জাতীয় সংসদে এই আইনের খসড়া উপস্থাপিত হয়েছে। তবে এই সময়ে এই আইন নিয়ে সমালোচনা করলেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তবে তার দেওয়া বক্তব্যের জবাব দিলেন আইনমন্ত্রী।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত আইনের খসড়া বিল আকারে জাতীয় সংসদে পেশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে। গণতন্ত্রকে সুসংহত ও প্রাতিষ্ঠানিক করা হবে। রোববার সংসদে বিলটি উত্থাপনের অনুমতি চেয়ে আইনমন্ত্রী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ খসড়া আইনের বিরোধিতা করে একে ‘সন্দেহজনক’ বলে অভিহিত করেন। হারুনের বক্তব্যের পাল্টা জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা মনে করেছিল আইনটি একটি রাজনৈতিক বিষয়। আইন নিয়ে উনারা এখন বলেন এইটা নাই, ওইটা আছে; এসব নাচ-গান শুরু করে দিয়েছেন।
স্পিকার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের বিলে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেন। পরে বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আইন সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ৭ দিনের মধ্যে স্থায়ী কমিটি রিপোর্ট দেবে। সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের জন্য বিলটি আনা হচ্ছে। কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। তার আগে রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন গঠনে কোন আইনের বিধান নেই। তবে বর্তমান সরকার এই নির্বাচন কমিশনে গঠনের জন্য আইনের খসড়া অনুমোদন করেছেন। জাতীয় সংসদে এই আইন পাস হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন গঠন এই আইনের মধ্যে দিয়েই হবে।