একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জনগন তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী তাদের মনের ভাব প্রকাশ করার অধিকার রাখে এবং ইচ্ছে অনুযায়ী সামাজিক যেকোনো কর্মকান্ডে তারা অংশগ্রণও করতে পারে। টিপ নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি হয়তো বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভুলতে পারেনি। সেই টিপকান্ডে চাকরি হারিয়েছিল এক পুলিশ সদস্য। সম্প্রতি জানা গেছে সেই পুলিশ সদস্য ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তাসহ অভিযোগকারী লতা সমাদ্দারের বিচারের দাবিও জানান।
টিপ দেওয়ার ঘটনায় চাকরি হারানো পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। একই সঙ্গে তিনি ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তাসহ অভিযোগকারী লতা সমাদ্দারের বিচার দাবি করেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চাকরি ফিরে পেতে স্ত্রী, নবজাতক শিশু ও মাকে নিয়ে তিনি এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় নাজমুল তারেক বলেন, ‘আমি উল্টো দিকে বাইক চালিয়েছি, এটা আমার অপরাধ। কিন্তু আমি লতা সমাদ্দারকে “টিপ পরছিস কেন” এমন কিছু বলিনি। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে মোড় নিতে তিনি এই অভিযোগ তোলেন। আমি তার বিচার দাবি করছি। এছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে অতিরিক্ত এসপি রহিমা আক্তার লাকী যে রিপোর্ট দিয়েছেন তা সত্য নয়। যদি সত্য হয়, তাহলে ভিডিওটি প্রচারের দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আমি। ১১ আগস্ট আমাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও এতদিন রাস্তায় দাঁড়াইনি। এখন আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে দাঁড়িয়েছি।
চাকরি হারিয়ে দুই সন্তান, স্ত্রী ও পরিবার নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছি। অবিলম্বে চাকরি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করছি।’ উল্টো দিকে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দারকে ধাক্কা দিলে পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। শিক্ষিকা অভিযোগ করেন যে ২ এপ্রিল কলেজের কাছে তাকে হয়রানি করা হয়েছিল। তিনি শেরেবাংলানগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন যে পুলিশ ইউনিফর্ম পরা এক ব্যক্তি তাকে ‘টিপ পরছো কেন’ বলে গালিগালাজ করেছে।
প্রসঙ্গত, আসলে কোনো ঘটনা যখন ঘটে সেই ঘটনার পিছনে নিশ্চই কোনো না কোনো কারণ থাকে। অপরাধ যে শুধুমাত্র একজনের সেটা আসলে সঠিকভাবে বলা যায় না। তাই ঘটনাএ তদন্ত সঠিকভাবে করে অপরাধকারীকে বিচারের আওতায় আনলে দেশের সুশাসন আরো উচ্চ মর্যাদা লাভ করবে।