আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বানচালের মরিয়া হয়ে মরণকামড় দিচ্ছে। এ কারণে আমরা যেসব দলের সঙ্গে জোট করেছি তাদের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করার তাগিদ অনুভব করছি। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আলোচনা আড়াল করার কিছু নেই। তাদের সঙ্গে আলোচনার মূল বিষয় ছিল নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করা। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। রাজনীতির নিয়ে কথা বলেছি। না/শকতা ও গোপন হা/মলা প্রতিরোধে ভোটারদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকবে নির্বাচনমুখী দলগুলো। এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে কিছুই জানা নেই। আমাদের আলোচনায় আসন ভাগাভাগি হয়নি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে এবং ষ/ড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনা নির্বাচনের পথে আছেন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্যই ভোট হচ্ছে। সবাই সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন নিয়ে গতকাল কোনো আলোচনা হয়নি। জনগণের ভোটের মাধ্যমে বিরোধী দল ও সরকারি দল আসবে।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নাশ/কতা, গোপন হামলার লক্ষ্য মু/রগি বাচ্চাও। তারা না/শকতার নতুন রেকর্ড করছে। দলটির নৃ/শংস রাজনীতি কখনও কখনও গাজায় ইসরায়েলি হামলার কথা মনে করিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে তাদের কাছ থেকে কোনো পণ্য কিনব না। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক বিশ্বে টানাপোড়েন চলচ্ছে। গাজায় গ/ণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ নিয়ে অনেক বিবৃতি দেওয়া হয়।
মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অনেক দেশই এ ব্যাপারে চরম টানাপোড়েন মধ্যে রয়েছে। আওয়ামী লীগ বিদেশে বন্ধু ছাড়া নেই। ইউরোপ, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকার বন্ধুরা এখন বাংলাদেশ নিয়ে কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে নয়।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর মধ্যে শেখ হাসিনার অবস্থান নবম। জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। বঙ্গবন্ধু কন্যা তার কর্ম দিয়ে একের পর এক সম্মান বয়ে আনছেন।