জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের অন্যতম একটি রাজনৈতিক দল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা হলেন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনি আশি দশকের প্রথমে ক্ষমতায় আসেন এবং একটানা পরপর দুইবার ক্ষমতায় থাকেন। সম্প্রতি জানা গেল জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভায় সাবেক এক এমপিকে করা হয় ছুরির আঘাত।
টাঙ্গাইলে জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাবেক এমপি আবুল কাশেম ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পেটের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করা হয়।
বুধবার (৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বর্ধিত সভাস্থলের হলের একটি জায়গা দখল করে স্থানীয় জাতীয় পার্টির মোজাম্মেল হক গ্রুপ ও আসু গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, বর্ধিত বৈঠকের শুরু থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেমসহ নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক গ্রুপের অনুসারীরা অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালালে অন্তত ১২ জন আহত হয়। সাবেক এমপি আবুল কাশেমকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নুর সামনে হামলা ও জখম হয়েছে বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে আবুল কাশেম বলেন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক তার কর্মীদের নিয়ে সকাল থেকেই প্রেসক্লাবের সিঁড়ি দখল করে রাখেন। সকালে প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় সার্কিট হাউসে কেন্দ্রীয় নেতাদের অভ্যর্থনা ও সভাস্থলে যাওয়ার সময় আমার ওপর হামলা হয়। এ সময় মোজ্জাম্মেল হকের এক কর্মচারী আমাকে ছুরিকাঘাত করে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। অন্য পাঞ্জাবি নিয়ে বৈঠকস্থলে বসে থাকা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখে ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য আসি। দলের নেতা-কর্মীদের সিদ্ধান্ত মেনে নেব।
বর্ধিত সভার প্রধান অতিথি মজিবুল হক চুন্নু বলেন, এমন কিছু হয়নি। তা হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাসহ অন্যান্যরা। টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি জানি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
প্রসঙ্গত, একজনের ওপর আন্য আর একজনের শত্রুতা থাকতেই পারে কোনো ঘটনা বা বিষয়কে কেন্দ্র করে। তবে জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সত্যিই খুব গর্হিত একটি ঘটনা বলে মনে করছেন অনেকে।