প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে ততই মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে মানুষের কষ্টের পরিমাণও অনেকাংশে কমে এসেছে। ইভিএম হলো প্রযুক্তির অন্যতম একটি আবিষ্কার। ইভিএম হলো সাধারণত একটি ইলেকট্রনিক মেশিন যার দ্বারা ভোট গ্রহণ কার্য সম্পাদন করা হয়। বাংলাদেশে আসছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আর সেই নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে আছে অনেক মতভেদ।
ইভিএম নিয়ে ইসি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটের জন্য সব দলকে ডাকব, তবে নির্ধারিত সময়েই ভোট হবে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের চলমান সংলাপের আজ পঞ্চম দিন।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জাসদ ও গণফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন। এই সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা তাদের নির্বাচনী ভাবনা, ভোটে ইভিএম পদ্ধতির ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে কমিশনের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল স্বাগত বক্তব্যে বলেন, দেশ ও জাতির স্বার্থে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক ভোট অনিবার্য। সে লক্ষ্যে তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বারবার আহ্বান জানানো হয়েছে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, নির্বাচনের মাঠে যোগ্য ও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলে পেশিশক্তির প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। আর সেই লক্ষ্যেই ভোটে পেশিশক্তি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে কমিশন।
সিইসি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন কেলেঙ্কারির বিষয় নয়, এই ভোটে নতুন সরকার গঠিত হয়। তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে হবে। এছাড়াও, কমিশন বিএনপিকে ভোট দিতে বাধ্য করবে না তবে ইসি চায় সব দল ভোট দিতে।
এভাবে ১১ দিন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে নির্বাচন কমিশন। শেষ দিনে ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
প্রসঙ্গত, বিশের প্রায় অনেক দেশেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশেও কড়া হচ্ছে তেমনটি। তবে এবার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কিনা সেই ব্যাপারে এখনো কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ইভিএমের ব্যবহার অনেকেই বুঝতে পারে তাই ভোটও ঠিক মত দিতে পারে না এমনটা জানা গিয়েছে।