সম্প্রতি বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে সাফ গেমসে শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরেছেন। যেটা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জুন। ঠিক সেই মুহুর্তে স্পেনের জাতীয় নারী ফুটবল দলের ১৫ জনের সদস্যের দল পদত্যাগ করলেন। ওই নারী ফুটবলাররা তাদের কোচের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তোলার পর বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং এরপরই তারা পদত্যাগ করেছেন। তাদের অভিযোগ ভিল্দার অধীনে থাকা খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ব্যাহত হচ্ছে।
সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেনের মহিলা জাতীয় দলের ১৫ জন খেলোয়াড় কোচ ভিল্দা যেভাবে তার ড্রেসিংরুমের প্রশিক্ষণ এবং পরিচালনা করেন তাতে মোটেও সন্তুষ্ট নন। কোচের বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভও করেছে তারা। অভিযোগের কথা জানাতে তারা স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনকে একটি ইমেল পাঠিয়েছে।
কিন্তু ফুটবলারদের দাবি উপেক্ষা করেছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন। সংস্থাটি কোচ ভিল্দার পক্ষ নিয়েছিল। ফুটবলারদের দাবি ও অভিযোগ নিয়ে এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, ‘খেলোয়াড়দের এই দাবি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এমন দাবি যুক্তিযুক্ত নয়। এটা ফুটবল ও খেলার মূল্যবোধের পরিপন্থী।
ফেডারেশনের এমন বক্তব্যের পর বৃহস্পতিবার গণপদত্যাগের পথ বেছে নেয় মেয়েরা।
এদিকে, খেলোয়াড়দের কঠোর অবস্থানে স্প্যানিশ ফেডারেশন তাদের মতামত পরিবর্তন করেনি। সংগঠনটি পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তারা বলেন, আন্দোলনকারীদের বাদ দিয়ে প্রয়োজনে বয়সভিত্তিক খেলোয়াড়দের নিয়ে নতুন জাতীয় দল গঠন করা হবে। তবে কোচ রয়ে গেছেন ভিল্দাই।
এমনটা হলে অভিজ্ঞ ও তারকা ফুটবলারদের হারাবে স্পেন। কারণ, বার্সেলোনায় খেলছেন ১৫ ফুটবলারের মধ্যে ৬ জন। তাদের কেউ কেউ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটির মতো ক্লাবেও খেলেছেন।
তারা হলেন – ভিসেন্তে মোরাজা, প্যাট্রি গুইজারো, লেইলা, লুসিয়া গার্সিয়া, ম্যাপি লেওন, উনা ব্যাটল, লাইয়া আলেইক্সান্দারি, ক্লদিয়া পিনা, আইতানা বোনমাতি, আন্দ্রেয়া পেরেইরা, মারিওনা কালদেন্তে, স্যান্দ্রা প্যানোস, লোলা গ্যালার্ডো, নেরেয়া এইজাগুইরে ও অ্যামাইয়াস সারেইজি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় নারী ফুটবলার ম্যাগান রেপিওনে ১৫ জন নারী ফুটবলার দাবির সাথে সমস্বরে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাদের দাবি অযৌক্তিক নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামের একটি স্টোরিতে স্প্যানিশ নারী ফুটবলারদের সমর্থন জানান তিনি। মোটামুটি সব কিছু মিলিয়ে স্প্যানিশ নারী ফুটবলের বিষয়ে দেশটিতে শুরু হয়েছে তোলপাড়।