বর্তমান সময়ে দেশের সরকারের দায়িত্ব পালন করছে আওয়ামীলীগ দল। তবে তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের শেষ নেই। এই সরকারের সকল অনিয়ম প্রতিরোধ সহ দেশে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি জাতীয় সরকারের লক্ষ্যে ৬ প্রস্থাবনা উত্থাপন করলেন আ স ম রব। এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত উঠে এলো প্রকাশ্যে।
স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে (আব্দুস সালাম হলে) লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও কর্মসূচিসহ জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন। প্রস্তাবনায় আ স ম রব বলেন, শাসন প্রক্রিয়া ও সমাজদেহে যে গভীর ক্ষত এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে- গণজাগরণ ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতীয় নৈতিক শক্তির পুনরুজ্জীবন করে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করা।
জাতীয় সরকারের লক্ষ্যঃ
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক একটি নৈতিক ও মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করার লক্ষ্যে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করা। জাতীয় সরকারের গঠন, রূপরেখা ও মেয়াদকাল ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।
জাতীয় সরকারের উদ্দেশ্যঃ
১ মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ‘সাম্য,’মানবিক মর্যাদা’ ও ‘সামাজিক সুবিচার’ এর ভিত্তিতে রাষ্ট্রপরিচালনার নীতি প্রনয়ন করা।
২.সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহকে সংবিধানের আওতায় প্রতিস্থাপন করা।
৩. আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
৪. রাজবন্দিদের মুক্তি প্রদান করা এবং সকল গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করা।
৫. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে- একটি স্বাধীন ‘নির্বাচন কমিশন’ প্রতিষ্ঠা করা।
৬. নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।’
আ স ম আবদুর রব জাতীয় সরকারের ১৩ দফার ন্যূনতম কর্মসূচি উত্থাপন করেন। জাতীয় সরকার’ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, নুরুল হক নুর, এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, সিরাজ মিয়া, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
বাংলাদেশের অন্যতম একজন রাজনীতিবীদ। তিনি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে সক্রীয় রয়েছে। তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের অন্যতম একজন নেতা। এছাড়াও তিনি বর্তমান সময়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন। এবং প্রায় সময় সাধারন জনগনের মাঝে বর্তমান সরকারের নানা অন্যায় কর্মকান্ড গুলো তুলে ধরছেন।