জাতীয় পার্টির নতুন সংসদ সদস্যরা ফুটবল টিম বলে ঠাট্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, সংসদে বিরোধী দলেরও অনেক কথা বলার সুযোগ রয়েছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) গণভবনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পার্টির ১১ জন নির্বাচিত। ওদের তো একটা ফুটবল টিম হয়ে গেছে। সরকারি দলের বিল আসবে। সেখানে সরকারি দলের সদস্যদের কথা বলার সুযোগ নেই। তবে সরকারি দলের বাইরে যারা আছেন, তারা অনেক কিছু বলতে পারবেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৯৭৬-৯১ সাল পর্যন্ত দেশের মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির জন্য জীবন দিয়েছেন, সেই জাতির ভাগ্য নিয়ে আমরা খেলতে পারি না। বাবা বেঁচে থাকলে আজ দেশের উন্নয়ন দেখতে পারতেন।
পৃথক সংসদ সদস্যদের হামলা ও সং/ঘর্ষে জড়াতে নিষেধ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংঘাত হলে কাউকে ছাড় দেব না। কেন নয়, অগ্নিসংযোগকারী গোষ্ঠীর কাছে যাতে আমাদের দ্বন্দ্ব আত্মঘাতী না হয়। বিএনপির মাথা তো হাজার মাইল দূরে। আর দেহ পড়ে আছে দেশে।
“সংসদ কার্যকর করুন।” গণতন্ত্রের প্রচার করতে হবে। চক্রান্ত চলবে। জনগণকে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি পূরণে সবাই কাজ করবে। আপনারা সংসদে আপনাদের ভূমিকা নেবেন, আমাদের কিছু বলার নেই। যারা প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েছেন তাদের অবশ্যই লাইব্রেরি ব্যবহার করতে হবে। সংসদীয় রীতিনীতি জানা উচিত,’ যোগ করেন তিনি।
সুশীল সমাজের কিছু মানুষ দেশে সুস্থ রাজনীতি চায় না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্যবশত পতাকা পেলাম না, সুশীল সমাজের নেতারাও বলেছেন, এবারের নির্বাচন ঠেকাতে পারবেন না। ” তারা সবসময় চক্রান্ত করেছে। বাংলাদেশ যতই এগিয়ে যাক না কেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা তা মেনে নেবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির কারণে তিনি কিছু আন্তর্জাতিক যাচাই-বাছাইয়ের মধ্যে ছিলেন, কিন্তু সে প্রচেষ্টা সফল হয়নি। কেউ যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে সেজন্য নির্বাচন খুলেছি।
বিএনপিকে নির্বাচনী না/শকতার উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। এখন কালো পতাকা কর্মসূচি কেন? আমি কি দেশের ক্ষতি করেছি?’ যোগ করেন তিনি।
উন্নয়ন প্রকল্পে কোনো এক দলের কমিশন রাজনৈতিক দল নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দুর্নীতি কমে যাওয়ায় এত বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। অনেক প্রকল্প বাতিল করেছি। দুর্নীতি আরও কমাতে হবে।