আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশে আবারো অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন।আর এই নির্বাচনের আগে একটি শঙ্কা সব থেকে বেশি তারা করছে বাংলাদেশকে।আর এ নিয়ে এবার কথা বলেছে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। জানা গেছে জাতীয় নির্বাচনের বছরে আরও নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না সরকার। এমন পরিস্থিতি এড়াতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। প্রাথমিকভাবে, বিদেশ মন্ত্রক বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত সমস্ত রাষ্ট্রদূত এবং হাই কমিশনারদের উচ্চ সতর্ক থাকতে বলেছে।
৩১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন নির্দেশনাসহ সব মিশন প্রধানকে চিঠি পাঠান। চিঠিতে তিনি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ৭ পৃষ্ঠার চিঠিতে মোট ২৪টি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। চিঠিতে নির্বাচনের আগে বেশ কিছু বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। বৈশ্বিক ও স্থানীয় রাজনীতির দিকেও নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, যেকোনো কূটনীতিকের মৌলিক কাজ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা। যাইহোক, বর্তমান বৈশ্বিক এবং দেশীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আরও বৈচিত্র্যময় কাজের দাবি করে। আপনি জানেন যে, আমাদের একটি অভিজাত আইন প্রয়োগকারী বাহিনী এবং তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস করার কারণ আছে যে সরকার এবং এর প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষতি করার জন্য সরকারী সংস্থা এবং ব্যক্তিদের উপর অনুরূপ বা অন্যথায় আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যেতে পারে। এই কারণে, আমি আপনাকে প্রস্তুত থাকতে এবং সতর্কতা অবলম্বন করার পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা প্রতিরোধে সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। সময়ে সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আপনাকে আপডেট তথ্য ও নির্দেশনা দেবে।’
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। তাই পররাষ্ট্র সচিব সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। চিঠিতে ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সর্বদা প্রস্তুত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ বাহিনী র্যাব এবং এর সাতজন প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সাত কর্মকর্তা হলেন- পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মুস্তফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান এবং র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ।
প্রসঙ্গত, এ নিয়ে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, চলতি বছর সংস্থা হিসেবে র্যাব ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে দাবি জানাবে সরকার। তবে নিষেধাজ্ঞা উঠানোর বিষয় এখনো কিছু জানায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।