Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / জাতিসংঘের অধীনে আবারো জোর দাবি জানালেন মির্জা ফখরুল

জাতিসংঘের অধীনে আবারো জোর দাবি জানালেন মির্জা ফখরুল

 

মির্জা ফখরুল বাংলাদেশের একজন খুব পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্য। তিনি প্রধানত বাংলাদেশের অন্যতম একটি রাজনৈতিক দল বিএনপির সমর্থক এবং এই দলের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মির্জা ফখরুল দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একগ্রতার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন গুমের অব্যাহত পরিস্থিতিতে দেশে সৃষ্টি হয়েছে এক ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গুম একদলীয় দুঃশাসনের উদাহরণ। রাষ্ট্রের এই অমানবিক আচরণ সংবিধান পরিপন্থী। যেকোনো দেশের নাগরিকদের জীবন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব। তবে বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সরকারের প্রধান রাজনৈতিক কর্মসূচী হয়ে উঠেছে গুম।

তিনি বলেন, অব্যাহত গুমের কারণে দেশে ভয়াবহ নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ আদিম বনের অন্ধকারে তলিয়ে যাবে। জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হবে। আসুন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হই। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হলেই গুম, অপহরণ, হত্যা, বিচারবহির্ভূত প্রাণনাশের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ নির্মূল হবে এবং জনজীবনে শান্তি ফিরে আসবে। আমি জাতিসংঘের অধীনে সব গুমের তদন্ত দাবি করছি।

মঙ্গলবার ‘আন্তর্জাতিক নিখোঁজ ব্যক্তি দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক নিখোঁজ ব্যক্তি দিবস উপলক্ষে আমি নিখোঁজদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তাদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। দেশে এখন গুমের আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানবতার বিরুদ্ধে সহিংসতা যেমন গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দুঃশাসন থেকে উদ্ভূত হয়। স্বৈরাচারী সরকারের হাতে গড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ছদ্মবেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের তুলে নেওয়া নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বিরোধী দল এবং মতের লোকদের অল্প সময়ের জন্য বা দীর্ঘ সময়ের জন্য বা চিরতরে অদৃশ্য করে দেয়।

তিনি বলেন, বিরোধী দল ও বিভিন্ন মতের মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য সরকার জোরেশোরে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। গুমকে ব্যবহার করা হচ্ছে মূলত বিরোধিতা ছাড়া একদলীয় শাসন বজায় রাখতে। সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু, চৌধুরী আলম, সুমন, জাকিরসহ বিএনপির ছয় শতাধিক নেতাকর্মী এই নির্মম গুমের শিকার হয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী ও দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ আরেকটি ভয়াবহ গুমের শিকার হয়েছেন। তাকে দুই মাস নিখোঁজ রাখার পর তাকে পাচার করা হয় পার্শ্ববর্তী দেশে। নতুন ধরনের এই ঘটনা দেশবাসীকে খুবই উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

প্রসঙ্গত, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমান। মির্জা ফখরুল সাবেক প্রতিমন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন সফলতার সহিত। তার নিষ্ঠা ও সততাপূর্ণ কাজের জন্য দল এখনো তাদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পেরেছে এবং সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *