মানবাধিকার, ভোটদান এবং মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘনের জন্য সদস্য রাষ্ট্রকে দায়বদ্ধ রাখার প্রক্রিয়া সম্পর্কে, জাতিসংঘের মহাসচিব স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন যে, বিশ্ব সংস্থাটির সেই ব্যবস্থা রয়েছে।
‘বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ড. হাছান মাহমুদ) জাতিসংঘের মৌলিক অধিকারকে সম্মান করার আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন’ – একজন সাংবাদিক এমন প্রসঙ্গ তুললে সরাসরি উত্তর এড়িয়ে এমন একটি প্রসঙ্গ তুললে, জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র মানবাধিকার কাউন্সিলের দায়িত্বের কথা সামনে আনেন। এর আগে বাংলাদেশি মন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কে কী বলছে, আমরা তা পরোয়া করি না।’
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) জাতিসংঘ সদর দফতরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্টিফেন ডুজারিক। এ সময় তাকে প্রশ্ন করেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। যখন তার প্রথম প্রশ্নটি অর্ধেক শোনা গেল, তখন ডুজারিক তাকে পুরো প্রশ্নটি আবার বলার জন্য অনুরোধ করেনন।
সাংবাদিক বলেন, ঠিক আছে। এখন আপনি কি আমাকে শুনতে পাচ্ছেন?
ডুজারিক: হ্যাঁ। ধন্যবাদ।
সাংবাদিক: বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের মৌলিক অধিকারের সম্মান করার আহ্বান নাকচ করে দিয়েছে। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কে কী বলছে, আমরা তা পরোয়া করি না। আমার প্রশ্ন— শুধু উদ্বেগ প্রকাশ ছাড়া, মানবাধিকার, ভোটদান এবং মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘনের জন্য সদস্য রাষ্ট্রকে জবাবদিহিতার আওতার আনার কোনো ব্যবস্থা কী জাতিসংঘের রয়েছে?
ডুজারিক: ভাল বলেছেন, (এমনটি) আছে… আমি বলব যে কোনো সদস্য রাষ্ট্রের জন্য সম্ভবত সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা হলো মানবাধিকার কাউন্সিলের মাধ্যমে সর্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা করা।
এর দুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, নীতিগতভাবে জাতিসংঘ বিশ্বাস করে রাজনৈতিক মত প্রকাশের জন্য কাউকে জেলে যেতে হবে না। স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাড়াই আটক বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানাবে কি না।
জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘নীতিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, আমরা বিশ্বাস করি যে রাজনৈতিক অভিব্যক্তির জন্য কাউকে জেলে দেওয়া উচিত নয় এবং যারা আছেন তাদের মুক্তি দেওয়া উচিত। বিশেষ করে কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে।’