আমাগী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পর বিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ বলছে সংবিধানের অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিরোধী দল বিএনপি পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে না বিএনপি। রাজ পথে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে নিরপেক্ষ সরকার গঠনে বাধ্য করা হবে। সরকারের বিদায়ের ইশতেহার তৈরী নিয়ে যা বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘নির্বাচনে যেতে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করছে না বিএনপি। এই সরকারকে কীভাবে বিদায় করা যায়, বিএনপি সেই ইশতেহার তৈরি করছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে যারা নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে বলছেন, আমি বলব তারা নাস্তিক। আল্লাহর উপর তাদের কোনো বিশ্বাস নেই।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধানি হ/ত্যার প্রতিবাদে যুবদল ঢাকা মহানগর (উত্তর-দক্ষিণ) এ বিক্ষোভের আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে ওবায়দুল কাদের কোনো সাবজেক্ট নয়, হাছান মাহমুদও কোনো বিষয়বস্তু নন। বিষয়বস্তু হচ্ছে একজন মাফিয়াচক্র প্রধান, তার নাম শেখ হাসিনা।’
তিনি আরও বলেন, অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হবে। কিন্তু আমি এটা বিশ্বাস করি না। এমনও হতে পারে বাংলাদেশে যা ঘটবে, তখন মানুষ শ্রীলঙ্কার ঘটনা ভুলে যাবে। আর কোনো রিঅ্যাকশন নয়, এখন থেকে অ্যাকশন। অধিকার আদায়ের কথা বললে জেলে নিয়ে যাবে? নিতে পারেন কিন্তু সেই জেলে যেতে পারবেন কি না ভেবে দেখুন। লোকেরা বলে আপনি আন্তর্জাতিক আদালতে হাজির হতে চান – আমি জানি না লোকেরা কী বলে বা আপনি সেখানে উপস্থিত হলে কী হয়। শেখ হাসিনার শেষ ঠিকানা মালদ্বীপ। সেখানে অপেক্ষা করছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন কী করবে, কী করছে তা নিয়ে বিএনপির কোনো মাথা ব্যথা নেই। জাতির মাথা ব্যথা একটাই; তাড়াও হাসিনা, বাঁচাও দেশ, জনগণের বাংলাদেশ। তাই নির্বাচন শব্দটা মুখে আনবেন না, নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা নয়। এদেশে নির্বাচন হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বিএনপি নির্বাচন নিয়ে কোন মাথা নেই সরকারকে হটানোই একমাত্র লক্ষ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি আরও বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।