একটি জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ অস্তিত্ব হল তার মুখের ভাষা অর্থাৎ তার মায়ের ভাষা। ভাষার জন্য বাঙ্গালীরা প্রাণ দিয়েছিল যেটা বিশ্বের আর কোনো জাতির ইতিহাসে নেই। ভাষার বিনিময়ে কোনো জাতি প্রান দিয়েছিল সেটা সারা বিশ্বের মানুষের আজ অজানা নয়। অর্থাৎ বাঙালি জাতি মনে করে বাংলা ভাষা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষা, আন্তর্জাতিকভাবেও এই ভাষা পেয়েছে স্বীকৃতি। এবার এই ভাষা আন্দোলন নিয়ে কথা বললেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর ( VP Nur )ুল হক নুর।
নুর বলেন, ভাষা আন্দোলন আমাদের আবেগের জায়গা। এটা নিয়ে মাত্র তিনটি গান। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ( Sheikh Mujibur Rahman ) মতো মহান নেতাকে নিয়ে মাত্র তিনটি গান। এখন বঙ্গবন্ধুর ( Bangabandhu ) কথা বলতে সমস্যা। বাংলাদেশের একটা বড় অংশ আছে, যারা বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন করে না, তারা অখুশি। ভারসাম্য বলতে গেলেও তাদের নেতাদের কথাও বলা যায়। ব্যক্তিগতভাবে, আমরা যতটা পারি সম্মান দিতে চাই।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ( Tafazzal Hossain Manik Mia ) হলে বাংলা ভাষা আন্দো’লনের স্থপতি অধ্যক্ষ আবুল কাশেমের ( Abul Kashem ) ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘বাংলা ভাষা: সংকট ও সমস্যার সমাধান’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলার ঐতিহ্য ভাষা আন্দোলন।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাঙলার উত্তরাধিকারের আহ্বায়ক আবু তৈয়ব হাবিলদার ( Abu Tayyab Habildar ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) শিক্ষক সাখাওয়াত আনসারী ( Sakhawat Ansari ), সাবেক সচিব কাশেম মাসুদ।
নুরুল হক নুর বলেন, এখন ইতিহাসের কথা বলতে গেলে অনেক হিসাব-নিকাশ করতে হয়। কারণ এটি ইতিহাস বিকৃতির জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করবে। এটা আপনাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী করে তুলবে। বর্তমান সরকার খুতধরা চেতনার বাহক। কোনোমতে যখনই এটি চেতনায় আঘা”ত করে তারা এটিকে ধরে। তাদের মতে চেতনা কি তা আমরা সবাই জানি না।
তিনি আরও বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ( February ) উপলক্ষে শহীদ মিনার ধুয়ে-মুছে পালিশ করা হয়। তিন স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু অন্য সময়ে এটিতে কুকুর, বিড়াল এবং নিষিদ্ধদ্রব্য আসক্ত ব্যক্তিদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়। তাদের দেখার মত কেউ নেই। একদিন কৃত্রিমতা দিয়ে কি হবে। যারা সম্মান পাওয়ার যোগ্য তাদের সম্মান করা হয় না।
সংবাদমাধ্যমকে ভিপি নুর ( VP Nur ) বলেন, বিদেশীরা যে ভাষাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্মান করেছে, বাংলাদেশি হয়েও আমরা কি আজও সে শহীদদেরকে তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পেরেছি। নাকি শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি ( February ) মাস এলেই আমরা প্রভাতফেরিতে গিয়েই নিজেদেরকে দায়মুক্ত করেছি। পৃথিবীতে এমন কোন ভাষা নেই যে, ভাষার জন্য জাতিকে জীবন দিতে হয়েছে। বাংলায় পৃথিবীর একমাত্র ভাষা, যে ভাষার জন্য শহীদ হয়েছেন অনেক দেশপ্রেমিক।