Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / জলিলের ভাবনা, দল তো প্রার্থী বানিয়ে দিল খরচার টাকা কই

জলিলের ভাবনা, দল তো প্রার্থী বানিয়ে দিল খরচার টাকা কই

সখীপুর উপজেলার বৈলারপুর গ্রামের আব্দুল জলিল মনে করেন, ‘দল আমাকে প্রার্থী করেছে, নির্বাচনী খরচ কোথায়! কে দেবে সেই টাকা? টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে আবদুল জলিলকে মনোনয়ন দিয়েছে জাকেরের দল। কিন্তু তিনি মনোনয়নের আবেদন করেননি। জলিল পেশায় মাছ বিক্রেতা। দুই উপজেলায় প্রচারণা চালাতে তার অন্তত ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। ব্যাংকে আছে মাত্র ২ হাজার টাকা। কিভাবে ব্যয় করবেন তা নিয়ে চিন্তিত তিনি। সখীপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, টাঙ্গাইল-৮ আসনে সাতটি রাজনৈতিক দলের সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছাইয়ে সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ পাওয়া গেছে। প্রার্থীরা হলেন- বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), অনুপম শাজাহান জয় (আওয়ামী লীগ), রেজাউল করিম (জাতীয় দল), পারুল আখতার (তৃণমূল বিএনপি), আবুল হাসেম (বিকল্পধারা বাংলাদেশ), আবদুল জলিল (জাকের পার্টি) ও মো. মোস্তফা। কামাল (বাংলাদেশ কংগ্রেস)। নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। নির্বাচনে ২৫ লাখ টাকা। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় আবদুল জলিলের বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তিনি ব্যয় খাতেও একই চিত্র উল্লেখ করেছেন। ফলে তার কাছে নগদ টাকা নেই। আবদুল জলিল বলেন, আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেব। আমার একটা পুকুর আছে। পুকুরের মাছ বিক্রি করলে পাবেন ৫০ হাজার টাকা। এই সামান্য টাকা দিয়ে নির্বাচন শেষ করা তার জন্য খুবই কঠিন হবে। দল কোনো আর্থিক সহায়তা দেবে না। এ কারণে তিনি দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন। আবদুল জলিল বলেন, ‘আমি লিখতে-পড়তে জানি না। আমি শুধু নাম স্বাক্ষর করতে পারি। শুনেছি অনেক অশিক্ষিত মানুষও জনগণের ভোটে এমপি হয়েছেন। জনগণ ভোট দিলে এমপি হওয়া অসম্ভব নয়। সবই ঈশ্বরের ইচ্ছা। আমি এমপি হলে এক টাকাও খাব না। আমি শুধু জনগণের কল্যাণে কাজ করব।’ নির্বাচনে জয়ী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অর্ধশত বছর রাজনীতি করেও তাদের অনেকেই দলীয় মনোনয়ন পাননি। এবং আমি এটি চাওয়ার আগেই পেয়েছিলাম। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে অবশ্যই বিপুল ভোটে বিজয়ী হব। সখীপুর উপজেলার বৈলারপুর গ্রামের সাবেক বিএনপি নেতা শরীফ পাপ্পু বলেন, আমি প্রায় ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করে আসছি, একজন এমপির কথাই বলি, ইউনিয়ন পরিষদে ভোট দেবার সাহস আমার নেই। জলিলের বাবা চাকরিজীবী ছিলেন। তার মা সারাজীবন মানুষের বাড়িতে কাজ করেছেন। ওই জলিল একটি দলের মনোনীত প্রার্থী। তিনি আমাদের গ্রামের গর্ব।

About Zahid Hasan

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *