মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে জেরিন সুলতানা (১৯) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁ/স দিয়ে আ/ত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বল্লা ইউনিয়নের দাদারখী গ্রামে বাবার বাড়িতে আ/ত্মহ/ত্যা করেন তিনি।
নিহত জেরিন সুলতানা দাদারখী গ্রামের তমসির খান ওরফে সুলতানের মেয়ে । এক বছর আগে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পাইনজোনখাড়া এলাকার মো. তাজম উদ্দিনের ছেলে মো. বাবু মিয়ার (২৮) সাথে তার বিয়ে হয়।
পুলিশ জানায়, প্রায় এক মাস আগে জেরিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিল। এরপর থেকে তিনি প্রচণ্ড পেটের পীড়া ও মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেরিন তার বাবার বাড়ির বারান্দার দরজা-জানালা বন্ধ করে ওড়না টিনের চালের সঙ্গে বেঁধে গলায় ফাঁ/স দিয়ে আ/ত্মহত্যা করে। এ সময় জেরিনের মা নাজমা বেগম বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ির পাশের জমিতে বাবা ঘাস কাটছিলেন। জেরিনের ছোট বোন তাহানি (৮), তার খালা তানিয়া (১৯) এবং চাচা শহিদুল (২৮) বাড়িতে টিভি দেখছিলেন।
অনেকক্ষণ বড় বোনকে না দেখতে পেয়ে তাহানি বারান্দার ঘরের কাছে যায় পরে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে বোনকে ডাক দেয়। কিন্তু দরজা না খোলায় এক পর্যায়ে তার বাবা তমসে খানকে ডাকেন। তমসে খান দরজায় ধাক্কা দিয়ে চিৎকার করলেও মেয়েটি দরজা খুলে না। পরে জেরিনকে ভাঙা জানালা দিয়ে টিনের চালের সাথে ঝুলতে দেখে তার বাবা। এরপর বাড়ির লোকজন দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফাঁ/স কেটে মেয়েটিকে নিচে নিয়ে আসে।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য বলেন, শনিবার (২১ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে আমরা খবর পাই। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।