মাঝে মাঝে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির খবর প্রায় গণমাধ্যমে উঠে আসে, যেটা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে গোটা পুলিশ বাহিন। বিভিন্ন সময়ে পুলিশ গাড়ীর অবৈধ কাগজপত্র বা মেয়াদ উত্তীর্ণ কাগজপত্র থাকার কারণে গাড়ি জব্দ করেন। তবে এই সকল জব্দকৃত গাড়ি বিক্রির কোনো এখতিয়ার নেই পুলিশের। এবার এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে জব্দকৃত গাড়ি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন মামলায় ভৈরব থানায় জব্দ করা কয়েকটি গাড়ি গোপনে বিক্রির অভিযোগ থানার এসআই আবু সাঈদের বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে। তাকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
রোববার কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে ভৈরব থানায় চিঠি দেওয়া হয়। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, এসআই আবু সাঈদ থানা থেকে জব্দ করা পাঁচটি প্রাইভেটকার ও চারটি সিএসজি অটোরিকশা গোপনে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে।
জানা যায়, থানার মালখানার দায়িত্বে থাকা এসআই আবু সাঈদ গত বছরের মে মাসে গোপনে ১৪টি জব্দ করা গাড়ি বিক্রি করে ৮-১০ লাখ টাকা আদায় করেন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত। এরপর বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়। কিশোরগঞ্জের তৎকালীন পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ (বিপিএম/বার) বিষয়টি তদন্তে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা সোমবার দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এসআই আবু সাঈদকে পুলিশ সুপার ক্লোজড করেছেন। তবে কী কারণে তা বলতে পারছি না।
মোঃ মোস্তাক আহমেদ যিনি কিশোরগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি এ ঘটনার বিষয়ে একাধিকবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। মনে করা হচ্ছে, তিনি বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী নন। জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।