আগামী ৭ জানুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রকে এখানে কূটনৈতিক উদ্যোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের সমন্বয়ক জন কিরবি বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। যুক্তরাষ্ট্র পক্ষপাতদুষ্ট নয়। এই খবরের সঙ্গে অনলাইন ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইন্ডিয়া টুডে-এর ডিজিটাল সংস্করণের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্নটি করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে একদিকে ভারত, চীন ও রাশিয়ার স্বার্থ রয়েছে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারত ও চীন কীভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিতে একই শিবিরে যোগ দিচ্ছে তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
৬ ডিসেম্বর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জন কিরবিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- ভারত, চীন ও রাশিয়া যখন বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী, কারণ তারা একটি মুক্ত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন? জবাবে জন কিরবি বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমাদের অবস্থান এমনই থাকবে। বিদেশি কোনো নির্বাচনে আমাদের কোনো দল নেই।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেই নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা এখানে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য আমরা যা করতে পারি তা করে যাব।
ইন্ডিয়া টুডে লিখেছে যে জানুয়ারির নির্বাচনকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই নির্বাচনের ফলাফল ভারতকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত বলেছে তারা উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশকে সমর্থন করে। কিন্তু বিশ্বের দুটি বৃহত্তম গণতন্ত্র দৃশ্যত বিপরীত শিবিরের পক্ষে। দেখা যাচ্ছে, নয়াদিল্লি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে সমর্থন করছে। অন্যদিকে ওয়াশিংটন ঘোষণা করেছে যে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করবে তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, ওয়াশিংটন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকার ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে, ভারতের উদ্বেগ বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও জামায়াতের বাংলাদেশে সরকারে প্রত্যাবর্তন নিয়ে। সবার দৃষ্টি এখন আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের দিকে। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে ভারত, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন অবস্থান নিয়েছে।