ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস আহমেদের জন্মদিনে উপহার পেয়ে রীতিমতো অবাক হয়ে গেছেন এমনই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন জনপ্রিয় অভিনেতা নিজেই। জন্মদিনে স্ত্রীর কাছ থেকে বিশেষ উপহার পেয়েছেন তিনি। ফেরদৌসকে পাঁচ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন তানিয়া আহমেদ। জন্মদিনে এমন সারপ্রাইজ পেয়ে বিস্মিত ফেরদৌস আহমেদ। বলেন, প্রতি বছরই তানিয়া আমাকে কোনো না কোনো সারপ্রাইজ দেয়। কিন্তু এবার সত্যিই এমন চমক ভাবতে পারিনি। তার উপহার পেয়ে আমি অবাক হয়ে গেলাম।
মঙ্গলবার তার শুভ জন্মদিন পালন করলেন অভিনেতা ফেরদৌস। আর এই বিশেষ দিনে উপহার পেয়ে চমকে গেলেন তিনি। জন্মদিনে মিলবে উপহার, অবাক হওয়ার কী আছে? তবে ফেরদৌস বলেন, উপহারটি এত বিশাল যে, অবাক না হয়ে উপায় নেই। জন্মদিনে পাঁচ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট উপহার পেলেন হঠাৎ বৃষ্টি খ্যাত তারকা! এবার পাঠক চমকে উঠবেন নিশ্চিত। এত বড় সাইজের উপহার কে দিল? এত বিশাল ফ্ল্যাট! ফেরদৌস জানান, এই উপহার দিয়ে তাকে চমকে দিয়েছেন তার স্ত্রী তানিয়া আহমেদ। ফেরদৌসের স্ত্রী তানিয়া বাংলাদেশ বিমানের পাইলট। স্বামী যেমন ব্যস্ত শুটিংয়ে আর স্ত্রী উড়ছে বিমানে। তাই ফেরদৌসের জন্মদিনে বিশেষ আয়োজন করেছেন তানিয়া। অবাক স্বামী। এবার চমকটা আরও বড় করলেন তানিয়া।
মঙ্গলবার ফেরদৌস বলেন, আজ আমি একটি চমৎকার উপহার পেয়েছি। এটা একেবারে আশ্চর্যজনক। এবং আমি আমার স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার পেয়েছি। জানা গেছে, ফেরদৌসের স্ত্রীর উপহারের ফ্ল্যাটটি বনানী ডিওএইচএস এলাকায়। এর মূল্য কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ফেরদৌস জানান, ওইদিন বিকেলে তানিয়া তাকে নিয়ে একটি অফিসে যায়। ফেরদৌস যেখানেই খোঁজ পেয়েছেন, তাকে পাঁচ হাজার বর্গফুট জায়গা উপহার দিচ্ছেন তানিয়া। এবারের ঈদে তিনি ফ্ল্যাটের চাবি পাবেন। নায়ক বলেন, বিয়ের পর থেকে তানিয়া আমাকে সবসময়ই কোনো না কোনোভাবে চমকে দিয়েছে। কিন্তু এবার তা প্রশ্নের বাইরে। নিঃসন্দেহে, এটি একটি সুখবর। আমি আমাদের জন্য সব মঙ্গল কামনা করি। ফেরদৌস ২০০৪ সালের ৯ ডিসেম্বর বৈমানিক তানিয়াকে বিয়ে করেন। তাদের নুজহাত ও নামিরা নামে দুই মেয়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ফেরদৌস তার জন্মদিন ঘিরে বলেন, অনেকেই বড় আয়োজনে জন্মদিন পালন করে থাকেন। তবে আমি সবসময় আমার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটাই। সম্প্রতি আমার দুই মেয়ে আমার (ফেরদৌস) জন্মদিন নিয়ে খুব আগ্রহী। কেক কাটা, মাসের প্রথম দিন থেকে বিভিন্ন ধরনের কার্ড তৈরি করা নিয়ে ব্যাস্ত তারা। আমি সত্যিই এই বিষয়গুলি খুব উপভোগ করি। আমি আমার জন্মদিনে কোন কাজ রাখি না। পরিবার ও বন্ধুদের এই দিনটাতে পরো সময় দেই ,কোন ভাবেই এই দিনটিকে আমি মিস করতে চায় না।