সাধারণ মানুষ তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে যাতে সেই প্রতিনিধি সকল দুঃখ-কষ্টে তাদের পাশে এসে দাঁড়াতে পারে। একজন এমপি হলেন জনপ্রতিনিধি। তিনি জনগনের দ্বারা ভোটে নির্বাচিত হন। তার কাছে জনগফনের ওান এক চাওয়া পাওয়া থাকে। সম্প্রতি টাঙ্গাইল-৮ আসনের সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের বলেছেন, “বাংলাদেশের সব থেকে গরিব এমপিই হলো ভিপি জোয়াহের।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়ার বলেন, “বাংলাদেশের সবথেকে গরিব এপমি হলেন ভিপি জোয়াহ। যেসব অনুষ্ঠানের জন্য ১০ হাজার টাকা দিতে হয়, আমি সেসবে অংশগ্রহণ করি না। তারাও জানে আমি সবচেয়ে গরিব এমপি। আমার এই সততা ও নিষ্ঠার কারণে অনেক রাজনৈতিক নেতা-কর্মী আমার বাসায় গিয়ে সোফায় বসতে পারে না। অনেক সময় পরিবারে কাছে আমি ছোট হয়ে যাই। তার পরেও আমি কখনই আমার জাগ্রত বিবেককে বিসর্জন দেইনি।”
গত (২৮ জুলাই) উত্তরে সখীপুর একটি মাদ্রাসায় জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়ারকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, “আমি শুধু বক্তৃতার জন্য বক্তব্য করি না। আমার বক্তব্যের সাথে কাজেরও মিল রয়েছে। আমি একজন আওয়ামী লীগের কর্মী। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমি কামলা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি জনগণের সেবা করতেই নৌকার সমর্থন করি।”
জোয়াহের বলেন, “বাসাইল ও সখীপুর মিলিয়ে ৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। আমি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এমপিওভুক্তির জন্য ১০ টাকাও নেইনি। বরং আমি নিজের টাকা খরচ করেই এমপিওভুক্তির জন্য সহযোগিতা করেছি।”
মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবু জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আলম, পৌর মেয়র আবু হানিফ আজাদ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম, যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম আতিকুর রহমান আতোয়ার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেড়বাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
প্রসঙ্গত, এমপিরা সাধরণত নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বেতন হিসেবে পেয়ে থাকেন। এমপিরা জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জন স্বার্থে কাজে নেমে পড়ের। জনগন তাডের কাছ থেকে বেশি কিছু চায় না, শুধু চায় তারা যেন তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও চাহিদাগুলো সময়মত পেতে পারে।