শহীদুজ্জামান সেলিম বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনের সুপরিচিত ও জনপ্রিয় চেনা মুখ। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিনোদন মাধ্যমে কাজ করছেন। তিনি তার অভিনয় জগতের ক্যারিয়ারে অর্জন করেছেন ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। তিনি অসংখ্য নাটক সিনেমা এবং বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। তার অভিনীত কাজ গুলো দর্শক মাঝে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। গতকাল জীবনের ৬০টি বসন্ত পেড়িয়ে ৬১তম বসন্তে যাত্রা শুরু করেছেন। এই জনপ্রিয় অভিনেতা জানালেন নিজের জীবনের সেরা ১০টি অর্জনের কথা।
জীবন নিয়ে সব সময় সহজভাবে চিন্তা করেছেন অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম। নিজের মতো করেই ক্যারিয়ার, পরিবারের মধ্যে ভারসাম্য রেখে হাসার চেষ্টা করেছেন। আনন্দ–বেদনায় কাটিয়ে দিলেন জীবনের ৬০টি বসন্ত। আজ তাঁর জন্মদিন। ৬১তম জন্মদিন একান্তে পরিবারের সঙ্গে কাটাচ্ছেন এই অভিনেতা। যাপিত জীবনের সেরা ১০টি অর্জনের কথা জানালেন শহীদুজ্জামান সেলিম।
শহীদুজ্জামান সেলিমের দুই মেয়ে। বড় মেয়ে সেঁজুতি খান ও ছোট মেয়ে সানজানা খান। তিনি মনে করেন, দুটি কন্যাই তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠতম অর্জন।
একজন অভিনেতা হয়ে ওঠা সেলিমের জীবনের অন্যতম সেরা অর্জন। একই সঙ্গে ঢাকা থিয়েটারের হয়ে পরিচালনা করাকেও তিনি ২ নম্বরে রাখতে চান।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারসহ সব অর্জন তাঁর জীবনের সেরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ভালো বন্ধু আছে সেলিমের। যাঁরা সুখ-দুঃখে সব সময় তাঁর পাশে থাকেন। এই বন্ধুগুলো তাঁর জীবনের সেরা প্রাপ্তির একটি
‘জীবনের ৬০ বছর পেরিয়ে আসাটাও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বলে মনে হয়,’ শহীদুজ্জামান সেলিম।
‘শ্রদ্ধেয় গোলাম মুস্তাফা, আবদুল্লাহ আল-মামুন, আতিকুল হক চৌধুরী, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, হুমায়ুন ফরীদি, সুবর্ণা মুস্তাফা, আফজাল হোসেনদের সঙ্গে কাজ করেছি। সেলিম আল দীনের চিত্রনাট্যে কাজ করেছি, চাষী নজরুল ইসলামের মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি। আরও অনেক প্রিয়জনের সঙ্গে কাজ করেছি, করছি—এসবই আমার অন্যতম অর্জন,’ বলেন সেলিম।
‘আমি অত্যন্ত সৎ লোক, আমি কোনো অন্যায় করি না। খামাখা কাউকে খুশি করার চেষ্টা করি না। আমার মধ্যে হিপোক্রেটি নেই। এই গুণগুলো আমার বড় অর্জন,’ সেলিম।
ক্যারিয়ারে নিজেকে শতভাগ সফল মনে করেন শহীদুজ্জামান সেলিম। চেয়েছিলেন থিয়েটার করবেন, করেছেন। এভাবে নাটক, সিনেমা থেকে যা চেয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশি পেয়েছেন। পাশাপাশি এখনো তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে নিয়মিত অভিনয় করে যেতে পারছেন, এটাই তাঁর বড় প্রাপ্তি।
সময় পেলেই পড়াশোনা করেন সেলিম। ব্যক্তিগতভাবে তাঁর চাহিদা খুবই কম। জীবনে অর্থ, সম্মান, খ্যাতি যা পেয়েছেন, তাতেই তৃপ্ত এই অভিনেতা।
‘স্বীকার করি আমার অনেক দোষ আছে। বেশি রেগে যাই। তারপরও আমি সবার আনন্দে হাসতে পারি। ঘাত–প্রতিঘাত আসে, তারপরও আমি পারিবারিক জীবনে সুখী মানুষ। প্রায় ৩০ বছরের পারিবারিক জীবনটাও আমার জীবনের সেরা অর্জন,’ বলেন শহীদুজ্জামান সেলিম।
১৯৮৯ সালে “জোনাকি জ্বলে” নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ছোটপর্দায় যাত্রা শুরু করেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা। তিনি তার নিপুন অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করতেও সক্ষম হয়েছেন। বর্তমান সময়ে তার রয়েছে ব্যপক জনপ্রিয়তা এবং অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী।