জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আর বাকি রয়েছে প্রায় বছর খানেক সময়, আর এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দলকে শক্তিশালী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে দেশের অন্যতম দুই রাজনৈতিক দল কাঁদা ছোড়াছুড়ি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে ও দেখা যাচ্ছে। দলগুলো একে অপরের সমালোচনা এবং দোষারোপ করা থেকে পিছিয়ে নেই। বিএনপি নেতারা বর্তমান সময়ে বেগম জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবি তুলে সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছেন। বিএনপি নেতাদের দাবি আ.লীগ সরকার জোর করে ক্ষমতায় থেকে এদেশের মানুষের অধিকার হরন করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, একসময় রাস্তার মোড়ে বিলবোর্ডে লেখা থাকবে এখানে কেউ আওয়ামী লীগ নেই, আওয়ামী লীগের লোক নেই।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, সরকারে যতদিন আছে আওয়ামী লীগ ততদিন থাকবে। সরকারে না থাকলে আওয়ামী লীগও থাকবে না। তিনি বলেন, ৭১ সালে যেমন কাউকে কাউকে বাসাবাড়ির সামনে লিখে রাখতে দেখা গেছে যে, এখানে রাজাকার নেই তেমনি রাস্তার মোড়ে বিলবোর্ডে লিখা থাকবে এখানে কেউ আওয়ামী লীগ নেই, আওয়ামী লীগের লোক নেই।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন শত অপরাধের জন্য যদি ক্ষমা প্রার্থী হন এবং প্রায়শ্চিত্ত করেন এবং সরকার থেকে পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করে নির্বাচন ঘোষণা দেন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে ঘোষণা দেন দেখবেন দেশের মানুষ অনেকে আপনার প্রতি সহানুভূতিশীল হবে। ভোট হয়তো আপনাকে না দিতে পারে কিন্তু ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ দিলে মানুষ সন্তুষ্ট হতে পারে। তাতে দেশে বসবাস করার একটি পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। সেই পথ আপনি অবলম্বন করবেন কিনা সেটা আপনার বিবেচ্য বিষয়।
উল্লেখ্য, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় হলেন বিএনপির একজন প্রবীন ও বর্ষীয়ান নেতা যিনি বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। গয়েশ্বর বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির (সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৭০-এর দশকে তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সদস্যও ছিলেন। তিনি বিএনপি নেতাদের মধ্যে একজন সরব এবং সক্রিয় নেতা। ছাত্রজীবনে তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। স্বাধীনতার পূর্বে, তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের একজন নেতা। তিনি ১৯৭৮ সালে বিএনপির রাজনৈতিক শাখা ‘জাতীয়তাবাদী যুবদল’-এ যোগ দেন।