ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতার আভ্যন্তরীন কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে ইডেন কলেজে। যেটা বেশ কিছু দিন ধরে চলচ্ছে কিন্তু শীর্ষ পর্যায় থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সংঘর্ষ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত। যখন ছাত্রলীগ এক পক্ষের নেতাদের মাধধর করা হলো তখন আস্তে আস্তে ভয়াবহ সব তথ্য বেরিয়ে এলো। কিন্তু এতো দিন কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল পাঠকদের জন্য হুবাহু নিচে তুলে ধরা হলো।
ইডেন কলেজের এক নেত্রীর ৫২ টিভির সাক্ষাতকার দেখলাম।
১. বেহায়ার মতো বলছে সে মূলত লেখক দাদার অনুসারী। তার সাথে রাজনীতি করে। তার মানে গ্রুপিং আছে ও সে লেখক গ্রুপ। দলের মধ্যে ব্যক্তির অনুসারী কি জিনিস? একজনের সাথে রাজনীতিটাই বা কি?
২. সে লেখককে ফোন করেছে কিন্তু লেখক ফোন ধরে নাই। তার মানে অনুসারীর ফোন প্রয়োজনের সময় দাদা ধরে না।
৩. প্রিন্সিপাল কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতাদের ফোন করে। আরেক বেহায়া। একজন শিক্ষক ফোন করবে তার উর্ধতনদের কাছে। সে ফোন করে মারামারি চুলাচুলি দলের নেতার কাছে।
৪. যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তা ভয়াবহ। এই মেয়ে বিচার চায়। কার কাছে? যে তার ফোন ধরে না। আর ছয়মাস ধরে এসব যখন চলেছে তখন বিচার চায় নাই কেন?
৫. দেশের সবচেয়ে বড় মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের নেত্রীদের নামেই যখন এই অভিযোগ; সারা দেশে বাকি মহিলা কলেজগুলির কি অবস্থা?
৬. নির্লজ্জতা এক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে। কারণ অন্য এক পত্রে এই বিদ্রোহী ; সাধারন ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর দাবীকারীদের বহিস্কার করেছে কেন্দ্রীয় নেতারা। কোন তদন্ত ছাড়াই।
৭. একটি দলের বিরাট সংখ্যক নেত্রীদের শৃঙ্খলা জনিত কারণে বহিস্কার করায় প্রমানিত হয় যে এই দলের সদস্যরা হয় উশৃঙ্খল অথবা তাদের নেতারা অবিচারকারী। এই উশৃঙ্খলদের নির্বাচন করেছিলো কারা? এতগুলো ভুল মেয়ে একসাথে বেছে নিলো তারা?এদের সিলেকশন এত পূয়োর কেন? আর এরা ভালো হলে এদের বহিস্কারকারীরা ভালোদের বের করলো কেন?
৮. এক পাপিয়া জেলঘরে – হাজার পাপিয়া…. এই দল করে?
৯. আর অভিযুক্ত নেত্রী রিভাকে দেখে তো মগজ রিভার্স গিয়ারে চলে গেলো। এই আন্টি ছাত্রলীগের নেত্রী। একে আমার আন্টি মনে হলে ছাত্রীরা তো ওকে নানী দাদী মনে করার কথা!
এগুলো দেখলে সাধারন মানুষ ছি ছি করে। এতো পুরোই ছি!ডেন কলেজ।
প্রসঙ্গত, একের পর এক আভ্যন্তরীন কোন্দলে জড়িয়ে যে সব অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ঘটাচ্ছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাতে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে সংগঠনটি নিয়ে। ইডেন কলেজের মতো নাম করা কলেজে এমন পরিস্থিতি তৈরী হলে অন্যদের অবস্থা কি হতে পারে প্রশ্ন তোলেন ড. আসিফ নজরুল।