পরকীয়া এমন একটি বিষয় যার কারণে অনেক সংসার ভেঙে গিয়েছে, অসহায় হয়েছে অনেকে শিশু। এবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় একটি ভিন্ন ধরনের পরকীয়ার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন ভাসুর। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, ধরে পড়ে যায় এলাকাবাসির হাতে। ঐ অভিযুক্ত ভাসুরের নাম জাকির হোসেন।
গতকাল শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দেড় বছর আগে ছোট ভাই সেলিমের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রায় এক বছর ভালোভাবেই সংসার করেছেন। তবে ছয় মাস ধরে স্বামীর সঙ্গে ঝ”গড়া-বিবাদ নিয়মিত হয়ে ওঠে। এ সুযোগে জাকির তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নানাভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকে। এতে করে তিন মাস আগে জাকিরের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এরপর জাকিরের কথা মতো সেলিমকে তালাক দেন ওই নারী। শুক্রবার ভোরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেবীপুরে বাবার বাড়ি থেকে ভাসুরকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাদের ধরে ফেলেন। ওই নারীর বাবার অভিযোগ, ‘‘পারিবারিকভাবে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছিলাম। জামাই খুব ভালো মানুষ। তার বড় ভাই একজন লম্পট। আমার মেয়ে তার রোষানলে পড়েছে। তারা আমার মেয়েকে পাচার করার জন্য একটি প্রেমের নাটক সাজিয়েছে। এর বিচার চাই।
গণমাধ্যমে ওই নারী বলেন, ‘আমার ভাসুর আমাকে প্রায় ফোন দিত। ভালো ভালো কথা বলার একপর্যায়ে তিনি আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। আমি প্রথমে রাজি না হলেও শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যাই। আমি আমার স্বামীকে তার কথামতো তালাক দিয়েছি। অভিযোগ স্বীকার করে জাকির হোসেন বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে এমন করা আমার ঠিক হয়নি। আমি একটি বড় ভুল করেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইমুদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আগেও ঝা”মেলা হয়েছিল। আমরা পারিবারিকভাবে এর সমাধান করেছি। মেয়ের ভাসুর জাকির হোসেন একজন লম্পট প্রকৃতির ব্যক্তি।’ এ কে এম আতিকুর রহমান যিনি ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, ভাসুরের সঙ্গে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর যে প্রেমের সম্পর্কের ঘটনার ঘটেছে কিংবা এরপর তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন সে বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।