Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ছোট্ট তিন সন্তান রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছি, কেউ খোঁজ নেয় না: যুব মহিলা লীগ নেত্রী

ছোট্ট তিন সন্তান রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছি, কেউ খোঁজ নেয় না: যুব মহিলা লীগ নেত্রী

জনরোষে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর দলটির অনেক নেতা দেশ ছাড়তে সক্ষম হলেও অধিকাংশই আত্মগোপনে চলে যান। এরই মধ্যে দলের তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। তাদের একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি উম্মে হানি সেতু।

সম্প্রতি সেতুর একটি ভয়েস রেকর্ডিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন, যা ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত।

সেই ভয়েস রেকর্ডিংয়ে সেতু বলেছিলেন,ওই ভয়েস রেকর্ডে সেতু বলেন, ‘দল করেছি কিন্তু কখনও ভালো জায়গায় রাখেনি। নেতারা বাঁকা করে তাকিয়েছেন, কেন তাকিয়েছেন সেটাও বুঝি? দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী ছিলাম, বিশ্রী তো আর না! কোন নেতা কোন দৃষ্টিতে তাকিয়েছেন, সেটা জানি। তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) কখনোই বোনের সম্মান দেননি। সবসময় তারা আমাদের ভোগের পণ্য মনে করতেন। যে মেয়ের শরীরে উনারা (নেতারা) হাত দিতে পারতেন, তাকেই ভালো পদ দিতেন।’

তিনি বলেন, ‘আমার নামে তিনটি মামলা হয়েছে। আমিসহ কয়েকজন মামলা খেয়েছি। অনেক সিনিয়র নেত্রীরা আছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। আমি মামলা খেয়ে অনেক কষ্ট করতেছি, তারা ভালো থাকুক। মামলা খেলে তাদের কষ্ট হওয়ার কথা ছিল না, তাদের ঘরে কোনো বাচ্চা নেই। আমার ১৬ মাসের একটি ছোট বাচ্চা আছে। ওই বাচ্চাটাকে ফেলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পড়ে আছি। একটা মানুষ আমার বাসায় খবর নেয় না, আমার ছোট তিনটা বাচ্চা কী খায়, বাচ্চাগুলো কী করে, বাড়িতে বাজার আছে কি না? তা ফোন দিয়ে কেউ খবর নেয়নি। তাতেও কোনো দুঃখ নেই।’

উম্মে হানি সেতু বলেন, ‘বাংলা কথা বলি, এই নোংরা নেতাগুলোর কারণে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়েছে। শুধু ইউনিয়ন লেভেল, উপজেলা লেভেল বা জেলা পর্যায়ে না, কেন্দ্রীয় নেতাদের পর্যন্ত অনেক অনেক নোংরা নোংরা খবর আসতেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা নায়িকাদের নিয়ে ফূর্তি করতেন। এগুলো করে বাংলাদেশে গজব নাজিল করেছে আওয়ামী লীগের ওপর।’

তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যেও আমাদের অনেক নেতাদের সান্নিধ্যে অনেকেই ছিল, যারা ছিল তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা যারা অবাধ্য ছিলাম, তাদের কথা শুনিনি, আজকে আমরাই মামলা খেয়েছি। দল ক্ষমতায় আসলে সুসময়ের পাখিরা আবার সুবিধা পাবেন। যারা কোলে বসতে পারেন তাদেরই ভালো জায়গা থাকে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, হোয়াটসঅ্যাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। উম্মে হানি সেতু তার ক্ষোভ প্রকাশ করে এই ভয়েস রেকর্ডিং পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমাদের মধ্যে কেউ সেই রেকর্ড ফাঁস করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক।

ভয়েস রেকর্ডিং নিয়ে উম্মে হানি সেতু বলেন, ‘আমি মামলা খাইয়া দৌঁড়ের ওপর আছি, আমি কোনো বক্তব্য দিইনি। পারলে প্রমাণ করুন।’

আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, আপনারা গ্রুপে দিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যখন বদমায়েশি করে তখন মনে থাকে না, এখন আমারে নিয়া নাচতে আইছে।

About Nasimul Islam

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *