মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপহরের পর ‘শ্বা’স’রো”ধে ‘হ”ত্যা’ অ’তঃ’পর শিশু আলীনা ইসলাম আয়াত’কে ৬ টু’ক’রো’ করে সা’গরে ভাসি’য়ে দে’য়ার ঘটনায় রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে মামলার অন্যতম প্রধান আসামি আবির আলীর বাবা-মা বাবা আজমল ও আলো বেগম। তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে নেয়ার নির্দেশ নিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার দুই দিনের রিমান্ড শেষে আবিরের বোন ১৫ বছর বয়সী আঁখি আক্তারকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বয়স কম হওয়ায় আদালত তাকে ভিকটিম সহায়তা কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক মনোজ কুমার দে বলেন, আবিরকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার তার বাবা-মাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। দুই দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আঁখিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পিবিআইয়ের আরেক কর্মকর্তা জানান, রিমান্ডে আবিরের বাবা-মা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আরও কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে তাদের আদালতে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
অন্যদিকে রিমান্ডে আবির এ অভিযোগের কথা স্বীকার করেছে।
এর আগে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা আয়াত ”হ”’ত্যা”কা’ণ্ড সম্পর্কে বলেছিলেন, “আয়াতকে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করেছিল। ১৫ নভেম্বর আয়াতকে পা’শ থেকে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় অপহরণ করে ‘শ্বা’স”রো’ধ ‘করে ”হ”’ত্যা” করা হয়।
এ সময়ে তিনি আরো জানান, অনেক খোঁজাখুঁজির পর আয়াতের কোনো সন্ধান না পেয়ে শেষ বিষয়টি ইপিজেড থানায় জানাতে বাধ্য হন তার বাবা। এরপর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আবিরকে গ্রেপ্তারের পরই বেরিয়ে সব রহস্য।