ভয়ঙ্কর বাইক দুর্ঘটনায় বালাকের ছেলের প্রয়ান হয়েছে বেশি দিন হয়নি। বালাকের ছেলে জীবিত থাকা কালীন সময়ে সোফিয়া স্নাইডারহান নামের একজন ঘনিষ্ট বান্ধবী ছিলেন। বালাকের ছেলের প্রয়ানের পরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে সোফিয়ার সাথে অর্থাৎ ছেলের বান্ধবীর সাথে ঘনিষ্টতায় জড়িয়েছেন বালাক নিজেই। এই নিয়ে সমালোচনার ব্যাপক ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দুজনকে এখন প্রায়ই প্রকাশ্যে দেখা যায়। তবে সম্পর্কের কথা কেউই স্বীকার করেননি।
মাইকেল বালাকের মেজো ছেলে এমিলিয়োও প্রয়াত গিয়েছে সবে বছর ঘুরেছে। এর মধ্যেই ছেলের বান্ধবীর সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছেন বালাক। যদিও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মুখে কুলুপ এটেছেন ৪৫ বছর বয়সী বালাক ও প্রয়াত ছেলের বান্ধবী ২১ বছর বয়সী সোফিয়া স্নাইডারহান। বালাক ও সোফিয়াকে প্রায়ই জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছে৷ ছেলের বান্ধবীর সঙ্গে বালাকে ২৪ বছরের ব্যবধানের এই অসম প্রেম নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে জার্মানিতে । ২০১২ সালে বালাকের স্ত্রী অর্থাৎ এমিলিয়োর মা সিমোনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় বালাকের। এরপর জার্মান কিংবদন্তি সম্পর্কে জড়ান নাতাচা তানুসের সঙ্গে।
এমিলিয়োর প্রয়ানের সময়ও নাতাচাই পাশে ছিলেন বালাকের। এই নাতাচাই বালাকের বান্ধবী হিসেবে জার্মানসহ গোটা পৃথিবীর ফুটবল ভক্তদের কাছে এত দিন পরিচিত ছিলেন। কিন্তু এমিলিয়ো দুর্ঘটনায় প্রয়াত যাওয়ার পর প্রেক্ষাপট বদলে যায়। তখন থেকেই বালাক ও সোফিয়া ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন। গত বছর পর্তুগালে ছুটি কাটাতে গিয়ে বাইক দুর্ঘটনায় প্রয়াত হয় বালাকের মেজো ছেলে এমিলিয়ো। এমিলিয়োর বান্ধবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন এই সুন্দরী মডেল সোফিয়া। যার সঙ্গে বর্তমানে বালাকের প্রেমের সম্পর্কের খবর বেরিয়েছে সংবাদমাধ্যম গুলোতে। জার্মানির দৈনিক বিল্ড লিখেছে, বালাক আপনার পুত্র বেঁচে থাকলে আপনি সোফিয়ার শ্বশুর হতেন, সেটি ভুলে যাবেন না দয়া করে। সোফিয়ার সঙ্গে সম্প্রতি বিমান যাত্রাও করেছেন বালাক। তাঁদের বিমানবন্দরে একসঙ্গে দেখাও গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ছেলের প্রয়ানের পুর্বে বালাকের দীর্ঘদিনের বান্ধবী নাতাচা তানুসের সাথে সম্পর্ক ছিল। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সোফিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে বালাকের। দুজনকে বার্লিনের রাস্তায় চুমু খেতেও দেখা গেছে। সম্প্রতি মডার্ন আর্টের একটি শোতে গিয়েছিলেন দুজন। এতে দুই করে চার করেছেন ভক্তরা। একটি জার্মান পত্রিকায় সোফিয়ার এক বন্ধুর মতে, বালাকের সঙ্গে ২৪ বছরের ব্যবধান থাকলেও তা প্রেমের পথে কোনও বাধা নয়। তারা উভয়ই তাদের আত্মবিশ্বাসের সাথে মোকাবিলা করে যখন তারা তাদের খেলার কার্যক্রম শুরু করতে বেছে নেয়। তাই একে অপরের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন তারা। বালাক জার্মান দলের অংশ ছিলেন যেটি ২০০২ বিশ্বকাপে রানার্স আপ হয়েছিল। ২০০৬ বিশ্বকাপেও খেলেছেন। জার্মানিতে তৃতীয় হন তিনি। অনেক বছর ধরে ক্লাব ফুটবলে চেলসির হয়ে খেলেছেন বালাক।