মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশ বিরোধী কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকা অপরাধে দেশটি আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রাণদন্ড দিয়েছে বলে স্থানীয় বিভিন্ন গনমাধ্যমে জানা গেছে। দেশটি দীর্ঘ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ সাজা কার্যকর করেছে এমনটি ভাবছেন স্থানীয়রা। এতে অভিযুক্ত মধ্যে চারজনকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হয়েছিল।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সোমবার বলেছে যে তারা সাবেক এমপি ফিও জে থাও এবং অন্য তিনজনকে প্রয়ানদণ্ড দিয়েছে। ফিও জে থাও মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির দলের সদস্য ছিলেন। জ// ঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে গত নভেম্বরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়। সামরিক জান্তা কখন এবং কীভাবে এমপিসহ তিনজনের প্রাণদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তা জানায়নি। এমপি ফিও জে থাউয়ের মা বিবিসিকে বলেছেন যে তিনি সোমবার তার ছেলের জন্য চশমা, একটি অভিধান এবং অর্থ নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি এসে দেখলেন তার ছেলের প্রাণদণ্ড কার্যকর হয়েছে। তার মা বলেছেন যে তিনি শুক্রবার ফিও জে থাও এর সাথে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি কারাগারে ব্যবহারের জন্য কিছু টাকা, চশমা ও অভিধান আনতে বলেন। সেজন্য সোমবার তিনি তাদের নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে প্রাণদণ্ডপ্রাপ্ত ফিও জে থাও-এর মা বলেন, গত শুক্রবার আমরা যখন তার সঙ্গে জুমে কথা বলি, তখন আমার ছেলে সুস্থ ও সুখী ছিল। তিনি আমাকে তার পড়ার চশমা, অভিধান এবং কারাগারে ব্যবহারের জন্য কিছু টাকা আনতে বলেছিলেন, তাই আমি আজকে কারাগারে নিয়ে এসেছি। তাই আমি ভাবিনি তারা তাকে প্রাণনাশ করবে। আমি এটা বিশ্বাস করিনি। এদিকে সোমবার রাতেও প্রয়াতদের নিথরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এমপির মা বলেন, ফাঁসির কোনো তারিখ তাদের জানানো হয়নি। ফলে ছেলের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার কোনো প্রস্তুতি নিতে পারেননি তারা।
গত জুনে, সেনাবাহিনী তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ঘোষণা দেয়, সারা বিশ্ব থেকে নিন্দা জানানো হয়। সামরিক জান্তা 2021 সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডির সরকারকে উৎখাত করে। অভ্যুত্থানটি দেশ জুড়ে বিক্ষোভের দ্বারা অনুসরণ করা হয়েছিল, যদিও সেই বিক্ষোভগুলি দ্রুত প্রশমিত হয়েছিল।
সূত্র: বিবিসি